তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হয়েছেন। আর চায়ের দোকানের চর্চা বলছে— “রইল বাকি এক।”
ইঙ্গিত অবশ্যই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার দিকে, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠায় যাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে দুর্নীতিদমন শাখা। এপ্রিল মাসে তেহট্ট মহকুমার বেশ কিছু বাসিন্দা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ওই মর্মে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তেহট্টে এসে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেছেন দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারেরা। তাপস-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রবীর কয়াল-সহ তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এখন মানিকের পরে তাপসের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপের করার দাবি তুলছেন ‘প্রতারিত’রা। মঙ্গলবার নাজিরপুরের সুজনকান্তি মণ্ডল দাবি, “অনেকের টাকা নিয়েছেন তাপস সাহা। কিন্তু চাকরিও হল না আর আমরা টাকাও ফেরত পেলাম না। ওঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত।” বাহাদুরপুরের নিউটন সিকদারও সিবিআই বা ইডি-র পদক্ষেপ চাইছেন। আর এক ‘প্রতারিত’ অলোককান্তি সাহা বলেন, “দুর্নীতিদমন শাখা ওঁকে ডেকেছিল ঠিকই, কিন্তু তদন্ত কিছুই তো এগোল না। টাকাও ফেরত পেলাম না। এ বার কেন্দ্রীয় সংস্থা পদক্ষেপ করুক।”
বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস থেকে সিপিএমের এস এম সাদি সকলেই কার্যত এই দাবির পক্ষেই সরব হয়েছেন। সিপিএমের তেহট্ট দক্ষিণ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাসের মতে, “অনেক আগেই তাপস সাহার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।”
এ দিন তাপস অবশ্য জানান, ইডি বা সিবিআই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাঁর দাবি, “আমি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই।” তৃণমূলের উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “বিষয়টা আইনের আওতায় রয়েছে। কোনও মন্তব্যকরব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy