Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
CORRUPTION

আবাস দুর্নীতি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

নবদ্বীপে আটটি ব্লক মিলিয়ে কমবেশি ১১ হাজারের কাছাকাছি মানুষের নাম তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে। সেই তালিকা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি ও সিপিএম।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
নবদ্বীপ  শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০১:৩৯
Share: Save:

‌আমপানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির ‘ক্ষত’ ঢাকতেই তড়িঘড়ি শাসক দল আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। কিন্তু সেই তালিকা হয়ে দাঁড়াল কার্যত আমপানের ক্ষতিপূরণ তালিকার পুনরাবৃত্তি। নবদ্বীপে আটটি ব্লক মিলিয়ে কমবেশি ১১ হাজারের কাছাকাছি মানুষের নাম তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে। সেই তালিকা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি ও সিপিএম।

কিসের ভিত্তিতে, কী ভাবে ওই তালিকা তৈরি হল তা জানাতে হবে বলে দাবি সিপিএমের স্বরূপগঞ্জের শাখা সম্পাদক সুদীপ দেবনাথের। বিজেপির নবদ্বীপ ব্লকের মণ্ডল সভাপতি রতন ভৌমিকের অভিযোগ, “ওই সব তালিকা তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে তৈরি হয়।” স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের ১৫৮ নম্বর বুথের সিপিএম সদস্য সোহরাব মির্জার কথায়, “বছর পাঁচেক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা হয়েছিল জনগণনায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। কিন্তু এ বারের তালিকা তৃণমূল কিসের ভিত্তিতে তৈরি করেছে? এঁদের বিষয়ে কারা, কখন খোঁজ করলেন?”

স্বরূপগঞ্জে মোট ২৫৬৭ জনের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৬৯ নম্বর বুথের তৃণমূলের সদস্য বিজয় সর্দারের নাম রয়েছে। তালিকায় তাঁর ক্রমিক নম্বর ৪২৩। রয়েছে তাঁর মা কল্পনা সর্দার (ক্রমিক ১০৪৬) ও ভাই রাজু সর্দারের নাম (ক্রমিক ১৮৪৪)। সিপিএমের অভিযোগ, ওই তালিকায় নাম তোলার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলে পাঠানোর নির্দেশ ছিল। আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল এমন অনেকেই বাড়ির তালিকায় নাম তুলতে গ্রামের কোনও ভাঙা, পরিত্যক্ত বাড়ির সমানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মা প্রতিমা চৌধুরী (ক্রমিক ১৭৪৫), দেওর কৌশিক রায় (ক্রমিক ১১৪১) খুড়তুতো দেওর আকাশ রায়ের (ক্রমিক ৯২) মতো অনেকের নাম আবাস যোজনার প্রাপকের তালিকায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ব্লক প্রশাসন এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের দাবি, এটি সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি তালিকা। এতে নাম থাকলে ঘর পাওয়া যাবেই এমন বাধ্যবাধকতা নেই। এটি মূলত আধার সংযুক্তিকরণের তালিকা।

সিপিএমের সোহরাব মির্জা বলেন, “ওই অ্যাপের মাধ্যমে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন তাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য কিনা তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল ভিলেজ রিসোর্স পার্সনদের। তৃণমূল যা বলেছে তেমন ভাবেই তালিকা তৈরি হয়েছে।” বিজেপির ওই অঞ্চলের মণ্ডল সভাপতি রতন ভৌমিকর দাবি, “অনেক অনুপযুক্ত লোকের নাম রয়েছে। পুরোটা দেখে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা নিশ্চিত, এমন অনেক উদাহরণ মিলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Corruption Nadia TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE