Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Erosion

Erosion: ফের ভাঙনে আতঙ্কে বাসিন্দারা

স্টিমার ঘাট এলাকায় ভাগীরথীর পাড়ের কিছু জায়গা বসে যাওয়ায় ফের ভাঙনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৫
Share: Save:

ভাঙন রোখার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু তার মধ্যেই শান্তিপুর শহরের স্টিমার ঘাট এলাকায় ভাগীরথীর পাড়ের কিছু জায়গা বসে যাওয়ায় ফের ভাঙনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী।

শান্তিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাগীরথীর ভাঙন ক্রমশ ঘুম কাড়ছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমার ঘাট, চর সাড়াগড়, বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের বিহারিয়া, হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া, গয়েশপুরের শ্রীরামপুরের মতো এলাকা সাম্প্রতিককালে ভাঙনের কবলে পড়েছে। চাষের জমি যেমন তলিয়ে গিয়েছে, তেমন নদীগর্ভে চলে গিয়েছে অনেক বাড়িও। কয়েক জায়গায় বালির বস্তা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ভাঙন আটকানোর কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। যদিও তাতে সে ভাবে ফল মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর আগেও এলাকায় প্রশাসনিক কর্তারা ঘুরে দেখে গিয়েছেন। ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

তারই মধ্যে স্টিমার ঘাট এলাকায় সোমবার ভাগীরথীর পাড়ে বেশ কয়েক মিটার এলাকা বসে যায়। এই এলাকায় আগেও ভাঙন হয়েছে এবং ফাটল দেখা গিয়েছিল। কাছেই রয়েছে পুরসভার পরিশ্রুত জল প্রকল্পের ‘ইনটেক পয়েন্ট’। এখান থেকেই ভাগীরথীর জল তুলে তা শহরে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পাঠানো হয়। এখানে ভাঙন শুরু হলে সেই প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। গত মাসেই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শান্তিপুরের ভাঙনের সমস্যার কথা জানান বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। মঙ্গলবার এলাকায় পরিদর্শনে যান বিধায়ক। এই এলাকায় ভাঙন রোধের জন্য দুই পর্যায়ে ভাগ করে কাজ করার কথা সেচ দফতরের।

বিধায়ক বলেন, ‘‘ সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। একটি প্রকল্পের প্রস্তাব আগেই জেলা থেকে পাঠানো হয়েছে। দরপত্র ডেকে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।’’ নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Erosion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE