ভাগীরথী। —ফাইল চিত্র।
মহালয়া হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে মাতৃ আরাধানা। গঙ্গায় পুণ্যস্নানে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। ভাগীরথী নদীর ঘাটে বীরভূম থেকে আগত পুণ্যার্থীরা যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন মুর্শিদাবাদের মানুষও। রবিবার সেই পুণ্যস্নানে গিয়ে ভাগীরথীতে তলিয়ে গেলেন এক ব্যাঙ্ককর্মী। স্থানীয় সূত্রে খবর, নদীতে তলিয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম আনন্দ কুমার। রবিবার সকালে রঘুনাথপুর বটতলা এলাকার গঙ্গায় নেমেছিলেন মহেশপুরের বাসিন্দা আনন্দ। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে আচমকা গঙ্গায় তলিয়ে যান তিনি।
বস্তুত, রবিবার সকাল থেকে রঘুনাথপুরে গঙ্গার ঘাটে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। হুড়োহুড়ির মধ্যে পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী আনন্দের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। তার পরে ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি অভিযান। গঙ্গাস্নান করতে আসা এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “আমরা স্নান করছিলাম। হঠাৎ শুনি আমাদের এক জন জলে তলিয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওকে আমরা বারণ করেছিলাম বেশি গভীরে যেতে। কিন্তু বলল, ‘কিছু হবে না।’ স্নান করতে করতে একটু দূরে চলে গিয়েছিল ও। তার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’’
উল্লেখ্য, শনিবার মহালয়ার ভোরে তর্পণে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে তিন জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা এবং হুগলির হিন্দমোটরের বিবি স্ট্রিট ঘাটে গঙ্গায় তর্পণ করতে গিয়ে বেশ কয়েক জন তলিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে হিন্দমোটরের গঙ্গার ঘাটে তলিয়ে যাওয়া তিন জনের দেহ মেলে বালি ব্রিজের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy