Advertisement
০৫ মে ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

‘ঘোড়া কেনাবেচা!’ মানছেই না তৃণমূল

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেলার দক্ষিণ অংশে বেশিরভাগ পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সুদেব দাস
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:১৫
Share: Save:

ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা পঞ্চায়েতগুলিতে বাড়ছে ঘোড়া কেনাবেচার প্রবণতা। জয়ী প্রার্থীদের দলে ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের উপর অত্যাচার করছে। তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেলার দক্ষিণ অংশে বেশিরভাগ পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। অনেক জায়গাতেই বিরোধী-শূন্য ফল হয়েছিল। কিন্তু এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বদলে গিয়েছে সেই রাজনৈতিক সমীকরণ। রানাঘাট-২ ব্লকের অধীনে থাকা একমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত শ্যামনগরেই শুধু বিরোধীশূন্য ফল হয়েছে।রানাঘাট-১ ব্লকের অধীনে রয়েছে মোট ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত। তার মধ্যে একটি পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ছ’টি পঞ্চায়েতে আবার ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছে। তৃণমূল একক ভাবে বোর্ড গঠনের পক্ষে এগিয়ে রয়েছে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে।

রানাঘাট ২ ব্লকে আবার মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দু’টিতে ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছে। বিজেপির দখলে গিয়েছে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত। আটটি পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। ফলে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কাদের দখলে যাবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা যেমন চলছে, তেমনই বিরোধী শিবিরের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে চলছে ঘোড়া কেনাবেচার কাজ।

বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি তথা রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা পঞ্চায়েতগুলিতে তৃণমূল আমাদের প্রার্থীদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। অত্যাচার হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনাও ঘটেছে। শাসকদলের নির্দেশে বিজেপি করার অপরাধে পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করতে চাইছে।"

এর জবাবে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি দলটা আর কেউ করতে চাইছে না। মানুষ ওদেরকে সমর্থন করছে না। নির্বাচন পর্যন্ত অনেকেই বিজেপিতে ছিলেন। কিন্তু এখন ওদের সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘বিরোধী দলের অনেক জয়ী প্রার্থী মৌখিক ভাবে আমাদের দলে আসার জন্য আবেদন করছেন। আমাদের স্থানীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা হবে। আমাদের ঘোড়া কেনাবেচার প্রয়োজনই নেই।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE