E-Paper

সীমান্ত এলাকা শান্ত রাখতে বৈঠকে বিএসএফ

শুক্রবার বিএসএফের ৮৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ান উদ্যোগী হয়ে মুরুটিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শিকারপুর পঞ্চায়েতের হলঘরে ওই বৈঠক করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫৫
বিএসএফের সঙ্গে সীমান্তবাসীর বৈঠক। শুক্রবার করিমপুরে। ছবি: অমিতাভ বিশ্বাস

বিএসএফের সঙ্গে সীমান্তবাসীর বৈঠক। শুক্রবার করিমপুরে। ছবি: অমিতাভ বিশ্বাস amitava biswas

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের খবর সীমান্তে ছড়িয়েছে। পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে সীমান্তে চলে আসতে পারেন। তাই সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সীমান্তবাসী ও স্থানীয় পঞ্চায়েতকে নিয়ে বৈঠক করল বিএসএফ।

শুক্রবার বিএসএফের ৮৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ান উদ্যোগী হয়ে মুরুটিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শিকারপুর পঞ্চায়েতের হলঘরে ওই বৈঠক করে। সেখানে বিএসএফের ব্যাটেলিয়ান কমান্ড্যান্ট অনিল সিংহ রাওয়াত, বিএফএফের উচ্চ আধিকারিকগণ, পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য-সহ অন্যেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, কোনও ভাবেই যেন অনুপ্রবেশের ঘটনা না ঘটে। পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার ও নিপীড়নের খবর সীমান্তে ছড়িয়েছে, সেই খবরে অযথা উত্তেজিত হয়ে ভারতে পরিস্থিতি যেন অস্বাভাবিক না-হয় সেই নিয়ে আলোচনা হয়।

শিকারপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনায় ভারতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সতর্ক থাকার কথা আলোচনা হয়েছে।’’

শিকারপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপ বিশ্বাস ও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন রায় বলেন, ‘‘এলাকায় অপরিচিত মানুষ বা বাংলাদেশি দেখলে বিএসএফকে কিংবা স্থানীয় থানায় খবর দিতে বলা হয়েছে।’’

কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষা শিকারপুর ও দহখোলা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ মণ্ডল ও শিবানী মণ্ডল মাহাতো জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে আলোচনায় আবেদন করা হয় যে, কাঁটাতারের বেড়া থেকে ৫০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা থাকে। তাই ওই সময় যেন সীমান্তবাসী কোনও আইন লঙ্ঘন করে ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত না করেন। বিএসএফের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বিএসএফকে জানান, যে কাঁটাতারের বেড়া লাগোয়া ৫০০ মিটারের মধ্যে প্রচুর মানুষ বসবাস করেন। এমন অবস্থায় ১৪৪ ধারা সব সময় মেনে চলা সম্ভব নয়। তবে চলাফেরার ক্ষেত্রে বিএসএফের সঙ্গে সহযোগিতা চেয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করবেন এই বার্তা দেওয়ার পর বিএসএফ কর্তারা তাঁদের দাবি মেনে নেন।

সনৎ সরকার নামে শিকারপুরের এক গ্রামবাসী বৈঠক শেষে জানান, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখন থেকে সীমান্ত এলাকায় যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে হলে বিএসএফের অনুমতি নিতে হবে। বিএসএফ এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে সব রকম সহযোগিতা করবে। তবে অনুমতি না-নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না।

বিএসএফের ৮৬ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ড্যান্ট অনিল সিং রাওয়াত বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পঞ্চায়েত ও সীমান্তের বাসিন্দারা বিএসএফকে সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিএসএফের পক্ষ থেকেও সীমান্তবাসীকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BSF India Bangladesh Border

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy