ডিএমের দফতরের বাইরে ‘চোখ’।—নিজস্ব চিত্র।
নিরাপত্তায় জোর দিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে কৃষ্ণনগর পুরসভা। ইতিমধ্যেই ওই ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর আগে কাজ শেষ করে তা চালু করে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রশাসনের কর্তাদের। ২৪ ঘণ্টাই ওই ক্যামেরা নজর রাখবে শহরের উপর। নজরদারি চালাতে একটা মনিটর থাকবে পুরপ্রধানের ঘরে। আর একটি থাকবে কোতোয়ালি থানার আইসি-র ঘরে। সাধারণ দিন বা উৎসবের দিনগুলিতে শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা অনেক সুবিধে হবে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে শহরে ২৪টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। খরচ হচ্ছে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা। জনবহুল এলাকা — বেলেডাঙামোড়, কালেক্টরমোড়, সদরমোড়, পোস্ট অফিস মোড়, চ্যালেঞ্চ মোড়, এভি স্কুল মোড়, পুরসভার মোড় ও পুরসভার প্রবেশ পথে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। পুজোর আগে প্রকল্পের উদ্বোধন হবে বলে জানান পুরপ্রধান তৃণমূলের অসীম সাহা। তিনি বলেন, ‘‘শহরের নিরাপত্তার খাতিরে এই পরিকল্পনা। বিশেষ করে উৎসবের দিনে রাস্তায় যে ভাবে মানুষের ঢল নামে তখন আইনশঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হয়। এই ক্যামেরা সেই কাজে অনেকটাই সাহায্য করবে।’’
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, কোতোয়ালি থানার আইসি নিজের ঘরে বসে মনিটরে নজরদারি চালাতে পারবেন। তেমন সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আবার কোনও অপরাধমূলক ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সহজেই দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা সহজ হবে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আগাম ব্যবস্থাও নিতে পারবে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই নজরদারিতে দুষ্কৃতীরাও চাপে থাকবে।’’
গত বছর কৃষ্ণনগরের বেলেডাঙা এলাকায় দাদুর বাৎসরিক শ্রাদ্ধে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় ওই ঘটনার পরে মুখ খুলতে চাননি কেউই। অসীমবাবু বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পর থেকে আমরা বিষয়টা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি। তখনই মনে হয়, সিসি ক্যামেরা থাকলে দুষ্কৃতীদের সহজেই শনাক্ত করা যেত।’’
তাছাড়া গত বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় বিসর্জনের সময় রাস্তায় ক্যামেরা বসিয়ে সাফল্য পেয়েছিল পুলিশ। সব ভেবে তাই নিরাপত্তার স্বার্থে জনবহুল মোড়ে বা অপরাধপ্রবণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে এই উদ্যোগে খুশি নন ব্যবসায়ীদের একাংশ। নদিয়ার একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক গোকুল সাহা বলেন, ‘‘এই সিসি ক্যামেরা কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বলেছিলাম বড় দোকানের সামনে ক্যামেরা বসাতে। পুরসভা তা করল না। এ সব আইওয়াশ ছাড়া কিছু না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy