Advertisement
E-Paper

PM Awas Yojana: বাংলায় নালিশ শুনে বুঝলেন না পরিদর্শকেরা

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় তাঁর হকের ঘর পেতে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ওসমানকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে!

সাগর হালদার  

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২২ ০৮:৪৫
ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার কথা পরি। সোমবার।

ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার কথা পরি। সোমবার। নিজস্ব চিত্রদর্শকদের জানাতে এসেছেন প্রেমানন্দ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর তৈরির কাজ কেমন হয়েছে তা পরিদর্শনে এসেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা।

ছিটকা পঞ্চায়েতের গুপ্তিপাড়ায় যখন পরিদর্শন শেষ করে তাঁরা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন হঠাৎ ছুটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কর্তাদের সামনে চলে যান বৃদ্ধ প্রেমানন্দ দাস বৈরাগ্য।

দাবি করেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় তাঁর হকের ঘর পেতে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ওসমানকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে!

বাংলায় বলা তাঁর এই অভিযোগ ভাষার সমস্যার জন্য বোধগম্য হয়নি প্রতিনিধি দলের কর্তারা। তাঁরা স্থানীয় পঞ্চায়েতের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘ইয়ে ক্যা কহ রাহাহে?’’ অর্থাৎ, ‘ইনি কী বলছেন?’। যাঁদের উপর তর্জমার ভার সেই পঞ্চায়েত কর্মীরা বিষয়টি বেমালুম ধামাচাপা দিয়ে বলেন, “ইয়ে অলগ মামলা হে।”

অর্থাৎ, এটা অন্য বিষয়। এর পর পরিদর্শকেরাও আর প্রেমানন্দের থেকে কিছু জানতে চান না। এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে, পরিদর্শকদের সঙ্গে তাঁদের নিজস্ব সরকারি তর্জমাকারী বা দোভাষী কেন থাকবেন না?

ছিটকা-র পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্চিতা বিশ্বাস পরে এ ব্যাপারে বলেন, “ওসমানের বিষয়ে কোনও অভিযোগ পঞ্চায়েতে জমা পড়েনি। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।”

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পঞ্চায়েত ভিত্তিক কাজ সরজমিনে দেখতে জেলায় এসেছে তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার রাতেই তাঁরা কৃষ্ণনগর আসেন। সোমবার সার্কিট হাউস থেকে সকালে বেরিয়ে সকাল ১০টা নাগাদ পৌঁছে যান তেহট্টের বিজেপি পরিচালিত ছিটকা পঞ্চায়েতে। সরাসরি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ দেখতে যান মায়ামারি খালে।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন তেহট্ট ১ এর বিডিও শুভাশিস মজুমদার, ছিটকা পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্চিতা বিশ্বাস, উপ-ধান উত্তম হালদার-সহ অন্যরা।

বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ জগাগারি খালে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। সেখানে চাষের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। এর পর পৌনে একটা নাগাদ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ইলশেমারি বিএসএফ চৌকি যান। সেখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। গোলকুয়া সীমান্তে বিএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সীমান্তের গেট খুলে ‘জিরো পয়েন্টে’ গিয়ে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দেখেন।

Pradhan Mantri Awas Yojana Central Team
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy