Advertisement
E-Paper

পাওনা টাকার জন্য বৌদির ‘গান্ধীগিরি’! চার দিন ধরে দেওরের দোকানের সামনে ধর্নায় নদিয়ার বধূ

পিয়ালী চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর দেওর অভিজিৎ চক্রবর্তী কয়েক বছর আগে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত চাইতেই শুরু হয় টালবাহানা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২৪
প্ল্যাকার্ড হাতে দেওরের দোকানের সামনে শুয়ে ধর্না বৌদির।

প্ল্যাকার্ড হাতে দেওরের দোকানের সামনে শুয়ে ধর্না বৌদির। —নিজস্ব চিত্র।

হাতে ‘আমার পাওনা টাকা ফিরিয়ে দাও’, ‘আমার পাওনা টাকা আমি ফিরে পেতে চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড। চোখে রোদ চশমা। প্লাস্টিকের মাদুর পেতে দোকানের সামনে সটান শুয়ে রয়েছেন এক বধূ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ ভাবেই চলছে চার দিন ধরে ধর্না। সম্পর্কে দেওরের কাছে পাওনা টাকা আদায় করতে এমনই পন্থা নিয়েছেন বৌদি। ঘটনাস্থল নদিয়ার করিমপুর থানার মহিষবাথান এলাকা।

মহিষবাথানের বাসিন্দা পিয়ালী চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর দেওর অভিজিৎ চক্রবর্তী কয়েক বছর আগে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সমস্যায় পড়েছেন বলে দেওরকে সাহায্য করছিলেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত চাইতেই শুরু হয় টালবাহানা। বার বার টাকা চেয়ে নিরাশ হতে হয়েছে তাঁকে। কোনও রাস্তা না পেয়ে দেওরের ওষুধের দোকানের সামনে বিছানা, বালিশ পেতে ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তিনি ধর্নায় বসেছেন। পিয়ালী বলেন, ‘‘টাকা আদায় করতে পারছি না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই ধর্নায় বসেছি।’’ অন্য দিকে, দেওর দোকানে বসে বৌদির ধর্না দেখছেন। তবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আশপাশের লোকজন জমছে। চার দিন ধরে বিছানা পেতে এক জন মহিলা এ ভাবে শুয়ে কেন, জানতে এসে প্ল্যাকার্ডে চোখ যাচ্ছে তাঁদের। বৌদি জানাচ্ছেন, পুলিশের পরামর্শ মতো এই পন্থা নিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, চার দিন ধরে মহিলা ধর্নায় রয়েছেন দেখে খোঁজখবর করছে করিমপুর থানার পুলিশ।

Nadia Karimpur Dharna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy