E-Paper

আইন অমান্যে জখম পুলিশও

বামেদের সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক বামপন্থী শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫১
আইন অমান্যকে ঘিরে অশান্ত হল কৃষ্ণনগর।

আইন অমান্যকে ঘিরে অশান্ত হল কৃষ্ণনগর। নিজস্ব চিত্র।

বামেদের কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনের আইন অমান্যকে ঘিরে অশান্ত হল কৃষ্ণনগর। অভিযোগ, আইন অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চালায়। আন্দোলনকারীরা আবার ঝান্ডা নিয়ে পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করে। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের দিক থেকে উড়ে আসা ঢিলের আঘাতে এক মহিলা পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোতোয়ালি থানার এক পুলিশ আধিকারিককেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের মারে একাধিক আন্দোলনকারীও জখম হয়েছে বলে বামেদের দাবি। দীর্ঘ সময় পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে আবার ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বামেদের সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক বামপন্থী শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগঠনের সদস্যেরা কৃষ্ণনগর পাবলিক মাঠে জমায়েত হতে থাকেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তায় একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়ন করা হয়। দুপুর ২টো নাগাদ পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ থেকে মিছিল বার হয়। কলেজের মাঠের সামনে রাস্তার উপরের ব্যরিকেড ভেঙে বামকর্মীরা জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনের ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে যায়। তার আগেই অবশ্য পুলিশ তাদের আটকে দেয়। তখনই পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়। বামেদের দাবি, পুলিশের মারে জখম হয়েছেন একাধিক আন্দোলনকারী। আবার পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীদের মারে একাধিক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দিক থেকে উড়ে আসা ঢিলের আঘাতে এক মহিলা পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোতোয়ালি থানার এক পুলিশ আধিকারিককেও মারধর করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে আবার ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর জেলা সম্পাদক এসএম সাদি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কিছু দাবির ভিত্তিতে এ দিনের আইন অমান্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ প্রথম থেকেই তার বিরোধিতা করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেও কিছু করতে পারেনি। আইন অমান্য সর্বত ভাবে সফল। প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ আমাদের কর্মীদের উপরে লাঠি চালিয়েছে। মহিলাদের উপরেও পুরুষ পুলিশকর্মীরা লাঠি চালিয়েছে।’’ পুলিশকর্মীদের জখম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ আমাদের উপরে লাঠি চালাচ্ছিল। সেই সময় পুলিশের লাঠির আঘাতেই ওদের কর্মীরা আহত হয়েছেন।” কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, “ঢিলের আঘাতে আমাদের একজন মহিলাকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।” পুলিশের লাঠি চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Krishnanagar CPIM

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy