শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতির অফিস ঘরে ভাঙচুরের ঘটনায় দু’টি অভিযোগ দায়ের হলেও অভিযুক্তের কেউ গ্রেফতার হয়নি। তৃণমূলের লোক বলেই পুলিশ তাদের আড়াল করতে চাইছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
গত সোমবার শান্তিপুর ব্লক অফিসে বিডিও-র ঘরে ঢুকে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বিডিও এবং যুগ্ম ভিডিও-র হাতে তৃণমূলের প্রতীক ধরানোর চেষ্টা হয়। এতে তাদের দলীয় প্রতীককে অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে ব্লক অফিস চত্বরেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অফিস ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। নদিয়া জেলায় এই একটি পঞ্চায়েত সমিতিই বিজেপির হাতে রয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতি ঘরে ভাঙচুর চালানো এবং সভাপতিকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডল এবং সহ-সভাধিপতি চঞ্চল চক্রবর্তী দু'জনেই শান্তিপুর থানায় পৃথক অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ভাঙচুরের সময়কার একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি) ইতিমধ্যে সামনে এসেছে যেখানে তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লক 'এ' সভাপতি সুব্রত সরকারকে দেখা যাচ্ছে। যদিও সুব্রতের দাবি, "আমি ওখানে ছিলাম না। বিষয়টা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।" পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। চঞ্চল চক্রবর্তীর দাবি, "তৃণমূলের অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের আড়াল করছে পুলিশ।" রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, "পুলিশ তদন্ত করবে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।" ফোনে এই বিষয়ে প্রশ্ন শুনেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রানাঘাট) লাল্টু হালদার বলেন, "ব্যস্ত রয়েছি, পরে কথা বলব।"
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)