মাস চারেক আগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দু’জন শিক্ষিকার বেতন স্থগিত করে দিয়েছে বহরমপুর পুরসভা। গত চার মাস থেকে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। তবে তাঁরা নিয়মিত স্কুল যাচ্ছেন। তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন। এ বারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পুজোর আগেই তাঁদের প্রাপ্য বেতন মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেন বহরমপুর প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে অধীর বলেছেন, ‘‘কিছু না বলে বহরমপুর পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষিকা গীতা চৌধুরী এবং শিবানী সাহার বেতন চার মাস ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগেই আপনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বীকার করেন যে রাজ্যের সব অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আপনি পান না। তাই আমি আপনাকে বহরমপুর পুরসভার এই অমানবিক কাজের কথা জানালাম। যাতে দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে তাঁদের প্রাপ্য বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়।’’ অধীর আরও বলেছেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলনের আবহে আমিও এই দু’জন শিক্ষিকার হয়ে আপনার সরকারের থেকে বিচার চাইছি।’’
যা শুনে বহরমপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই দু’জনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরে তাদের শো-কজ করা হয়েছিল। তাঁরা পুরসভার আধিকারিকদের সামনে শুনানিতে না এসে প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীর পরামর্শে পুরসভার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি এখন কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। দুই কর্মীকে বলব, অধীরবাবুকে পুরসভার প্রশাসনিক বিষয়ে রাজনীতি করার সুযোগ না দিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগ নিয়ে পুরসভার সঙ্গে আলোচনায় বসুন। প্রয়োজনে দু’পক্ষ মামলা তুলে নেব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)