Advertisement
E-Paper

বিধি মানতে জুম্মায় লোকশূন্য মসজিদ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার নাকাশিপাড়ার চ্যাঙা গ্রামে কয়েকশো লোক হাজির হয়েছিলেন মসজিদে।

মনিরুল শেখ

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০২:৫২
মসজিদে একসঙ্গে নমাজ না পড়ার নোটিস। কৃষ্ণনগরের কুর্চিপোতায়। নিজস্ব চিত্র

মসজিদে একসঙ্গে নমাজ না পড়ার নোটিস। কৃষ্ণনগরের কুর্চিপোতায়। নিজস্ব চিত্র

গত শুক্রবারে ছবিটা ছিল একেবারেই আলাদা। লোকজনের আগমনে গমগম করিছল মসজিদ চত্বর। লোকজন উৎসবের আমেজে সাপ্তাহিক জুম্মার নমাজ পড়েছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন পরিস্থিতি খুব জটিল নয়। কিন্তু এই শুক্রবারের জুম্মার নমাজের ছবিটা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। এ দিন জেলার প্রায় সব মসজিদ ছিল লোকশূন্য। সকলেই বাড়িতে থেকে জুম্মার নমাজ পড়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার নাকাশিপাড়ার চ্যাঙা গ্রামে কয়েকশো লোক হাজির হয়েছিলেন মসজিদে। গ্রামের বাসিন্দা আকিব জাভেদ বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। সরকার তখনও লকডাউন ঘোষণা করেনি। কিন্তু এ দিন আমি তো বটেই, পরিবারের সকলে বাড়িতে নমাজ পড়েছে।’’ তিনি জানান, তাঁদের গ্রাম তো বটেই, আশপাশের বহু গ্রামে একই চিত্র। ওই থানা এলাকার গলাইদড়ির এলাকার বাসিন্দা খবির শেখ জানান, বহু বছর পর জুম্মার নমাজ পড়তে মসজিদে যেতে পারলেন না।

তিনি বলেন, ‘‘সরকারি সিদ্ধান্ত তো নিজেদের স্বার্থেই মেনে চলতেই হবে। এ দিন মসজিদে ইমাম, মোয়াজ্জেন, মসজিদ কমিটির সম্পাদক ও আরও দু'জন মিলে নমাজ পড়েছেন। আর বাকিরা বাড়িতেই সেরেছেন সাপ্তাহিক নমাজ।’’

কৃষ্ণনগর-২ ব্লক তরফে দিন কয়েক আগে মসজিদে ভিড় সামলাতে ইমামদের নিয়ে বৈঠক হয়। পরে অবশ্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। ওই ব্লকের সিংহাটির মসজিদের ইমাম নুরউদ্দিন শেখ জানান, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আশপাশ এলাকার ইমামদের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। এ ছাড়াও দিন তিনেক আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জুম্মাতে গ্রামের মসজিদে পাঁচ জনের বেশি নমাজ পড়তে যাবেন না। সেই মতো এ দিন পাঁচ জনকে নিয়ে নমাজ পড়া হয়েছে।

জেলার অন্যতম সংখ্যালঘু প্রধান ব্লক চাপড়া। সেখানেও গত কয়েক দিন ধরে মসজিদে লোকজনের আসার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মসজিদের মাইকে বার বার ভিড় এড়ানোর অনুরোধ করা হয়। এ নিয়ে দিন কয়েক আগে চাপড়া থানা ও মসজিদ কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানেই স্থির হয়, কোনও ভাবেই জুম্মার নমাজে পাঁচ জনের বেশি লোক হাজির হবেন না। সেই মতো এ দিন চাপড়ার বাঙালঝির ডাঙাপাড়া মসজিদে গুটিকতক লোককে নিয়ে নমাজ হয়। ওই মসজিদের সম্পাদক মীরমুদ্দিন মুন্সি বলছেন, ‘‘আমি এ দিন দুপুরের আগে থেকেই মসজিদের দরজায় হাজির থেকে লোকজনকে ফিরিয়ে দিয়েছি। শেষমেশ ভিড়হীন অবস্থাতেই নমাজ হয়েছে।’’

বাঙালঝি নুর মসজিদ, বাঙালঝি বড় মসজিদেও ছবিটা একই ছিল। এ ছাড়াও করিমপুর সীমান্তের অনেক মসজিদেও ভিড় ছিল বেশ কম।

Coronavirus Mosques Home Quarantine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy