Advertisement
E-Paper

বহরমপুরে সংক্রমণে প্রশ্ন

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জনঘনত্ব বেশি ও পরিযায়ী শ্রমিক বেশি থাকার কারণে আশঙ্কা করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে করোনা সংক্রমণ বেশি হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, পড়শি জেলা নদিয়া-মালদহের তুলনায় মুর্শিদাবাদে করোনা সংক্রমণ কম রয়েছে।

সামসুদ্দিন বিস্বাস

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:০৯
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এক সময় করোনা সংক্রমণের শীর্ষে থাকার পরে মাঝে কিছু দিন বিরাম ছিল। ফের শীর্ষে উঠে এসেছে জেলা সদর বহরমপুর। গত কয়েক দিন থেকে বহরমপুর শহরে দৈনিক ২০-২৫জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, শুক্রবার রাতেও বহরমপুরে ২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত বহরমপুর শহরে ৫২১জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের— যা জেলায় সব থেকে বেশি। সূত্রের খবর, বহরমপুর শহরে এপর্যন্ত যেখানে ৫২১জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানে জেলায় করোনা সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রঘুনাথগঞ্জ-১ব্লকে ৩৫৭জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের ফারাক ১৬৪ জনের।

বহরমপুর শহরে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে কেন? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, এই শহরের আয়তন প্রায় ৩১বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২০হাজার। জেলার অন্য এলাকার তুলনায় এই শহরের জনঘনত্বও বেশি। সেই সঙ্গে জেলা সদর হওয়ার কারণে জেলার লোকজন বহরমপুরমুখী হোন। শহরের সৈদাবাদ সহ যে কয়েকটি এলাকায় সংক্রমণ বেশি কর্মসূত্রে ওই এলাকার লোকজনের বাইরে যাতায়াত আছে। সঙ্গে করোনা সুরক্ষা বিধি অনেকেই মানছেন না। চায়ের দোকান থেকে পাড়ার মোড়ের মাথায় মাস্ক ছাড়ায় সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে আড্ডা চলছে। আনাজ বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। যার জেরে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন থেকে বহরমপুর শহরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সংক্রমণ রুখতে বাইরে বেরলে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মানার উপরে গুরুত্ব দিতে হবে।’’

স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, এক সময় বহরমপুর করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে ছিল। ৬৪টি কন্টেনমেন্ট জ়োনের মধ্যে ১৭টি বহরমপুরে শহরে ছিল। মাঝে বহরমপুর শহর করোনা সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে চলে এসেছিল। বর্তমানে জেলার ৩৬টি কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকায় নাম নেই বহরমপুরের। তবে গত কয়েক দিন থেকে বহরমপুরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের শীর্ষস্থান এসেছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জনঘনত্ব বেশি ও পরিযায়ী শ্রমিক বেশি থাকার কারণে আশঙ্কা করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে করোনা সংক্রমণ বেশি হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, পড়শি জেলা নদিয়া-মালদহের তুলনায় মুর্শিদাবাদে করোনা সংক্রমণ কম রয়েছে। প্রথম থেকে এবিষয়ে প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা তৎপর ছিলেন। তেমনই পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্য থেকে জেলায় ফিরে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে চলে গিয়েছেন। গ্রামের লোকজনও তাঁদের সহযোগিতা করেছেন। যার জেরে জেলায় কিছুটা হলে রাশ টানা গিয়েছে ঠিকই। তবে বহরমপুরের মতো জেলার কয়েকটি জায়গায় আরও সচেতন হতে হবে।

Berhampore Baharampur Infections COVID19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy