E-Paper

গয়নার হদিস পেতে ডাকাতদের একটানা জেরা

মঙ্গলবার দুপুরে পুরুলিয়া ও রানাঘাটে একই সংস্থার স্বর্ণ বিপণনিতে ডাকাতি হয়। পুরুলিয়ায় রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:২৪
রানাঘাট আদালতের পথে ধৃত ডাকাতেরা। বুধবার।

রানাঘাট আদালতের পথে ধৃত ডাকাতেরা। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

নামি সংস্থার স্বর্ণ বিপণনিতে ডাকাতিতে জড়িত দুষ্কৃতীরা নদিয়াতেই ঘাঁটি গেড়েছিল। ধৃত পাঁচ জনকে বুধবার রানাঘাট আদালতে হাজির করা হলে ১৫ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অধরা আরও তিন দুষ্কৃতী।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত কুন্দন যাদব ওরফে ফাইটার, রাজু পাসোয়ান, রিক্কি পাশোয়ান, মণিকান্ত যাদব ও ছোট্টু পাসোয়ানের বাড়ি বিহারের বৈশালী ও ছাপরা জেলায়। ২০২১ সালে আসানসোলে একটি খুন ও ডাকাতির ঘটনায় কুন্দন যুুক্ত ছিল বলে এ দিন জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা।

মঙ্গলবার দুপুরে পুরুলিয়া ও রানাঘাটে একই সংস্থার স্বর্ণ বিপণনিতে ডাকাতি হয়। পুরুলিয়ায় রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। দুই দুষ্কৃতী দলের যোগ আছে কি না তা বুঝতে বুধবার ভোরে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের তিন প্রতিনিধির দল রানাঘাটে এসে পৌঁছয়। এ ছাড়া মাসখানেক আগে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে ওমতি থানার একটি বাড়িতে ডাকাতির সঙ্গে রানাঘাটের ডাকাতদের যোগ থাকার সম্ভাবনা আছে ধরে নিয়ে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের তিন সদস্যের একটি দলও রানাঘাটে এসেছে। লালবাজার থেকেও এসেথেন তিন অফিসার। দিনভর দফায় দফায় ধৃতদের জেরা করেছেন বিভিন্ন থানার আধিকারিকেরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ডাকাতির এক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথক দু’টি জায়গা থেকে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাতের দিকে রানাঘাট শহর লাগোয়া কুপার্স এলাকা থেকে কুন্দন গ্রেফতার হয়। তাকে জেরা করেই কল্যাণীর ‘বি-১৮ সি’ ভাড়াবাড়ির ঠিকানা মেলে। রাতেই ওই দুষ্কৃতীকে নিয়ে সেই ভাড়াবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। যদিও যে ঘর দু’টি তারা ভাড়া নিয়েছিল সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। পুলিশের গুলিতে জখম মণিকান্ত যাদবের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যায় তাকে রানাঘাট থেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

ডাকাতির পর থেকেই স্বর্ণ বিপণনির কর্মীদের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে বসে। তাতে লেখা— "পুলিশের কাছে অনুরোধ, যত দ্রুত সম্ভব গয়না উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিক।" আগের রাতে তাঁরা কেউ বাড়ি ফেরেননি। দোকানের কর্মী পায়েল কুণ্ডু বলেন, "সামনেই ধনতেরাস এবং পুজোর মরসুম। তার আগে আমাদের শো-রুম ফাঁকা, এটা মেনে নিতে পারছি না।" ওই বিপণি সংস্থার মালিক তন্ময় ধর দাবি করেন, "প্রায় ছয় কোটি টাকার সামগ্রী লুট হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ প্রায় এক কোটি টাকার সামগ্রী উদ্ধার করেছে। বাকি গয়না এখনও মেলেনি।"

এ দিন দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ ওই বিপণিতে তালা ঝোলায় পুলিশ। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কন্নন বলেন, "বাকি তিন দুষ্কৃতীর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ranaghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy