অবরোধ: সিমেন্ট কারখানার সামনে বসে শ্রমিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও জঙ্গিপুর সিমেন্ট কারখানায় ধর্মঘট অব্যাহত। শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়েছে, কারখানার গেটে শ্রমিকেরা অবরোধে বসায়।
ধর্মঘটীদের সামনের সারিতে থাকা ছয় শ্রমিককে এ দিনই চিঠি দিয়ে ধর্মঘট করার জন্য জবাবদিহি চাওয়ায় দুপুর থেকে ক্ষোভ বেড়েছে ধর্ণঘটীদের। কারখানার ভিতরে শ্রমিকদের ভর্তুকির ক্যান্টিনও এ দিন থেকে তালা পড়ে গিয়েছে। এত দিন শ্রমিকদের মাসিক ভাতা পড়ত তাঁদের নিজের অ্যাকাউন্টে। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের সেই মজুরির টাকা পাঠানোও। ওই সিমেন্ট কারখানায় দৈনিক দুই মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন হয়। এর জন্য ১৮ জন ঠিকাদার নিযুক্ত রয়েছেন। প্রায় ৬০০ ঠিকা শ্রমিক কাজ করেন ঠিকাদারদের অধীনে। এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভিন জেলার মজুর। সমস্যা বেড়েছে তাদের।
বর্তমানে শ্রমিকেরা মজুরি পান দৈনিক ২৫৬ টাকা করে। ঠিকা শ্রমিকদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত ন্যুনতম মজুরি ৩৫০ টাকা হারে তাদেরও মজুরি দিতে হবে। কারখানা কর্তৃপক্ষ তা দিতে রাজি না হওয়ায় গত সোমবার থেকে শ্রমিকেরা ধর্মঘট শুরু করায় সিমেন্ট উৎপাদন বন্ধ হয়ে রয়েছে। শ্রম দফতরের জঙ্গিপুরের সহকারী শ্রম কমিশনার শ্যামাপ্রসাদ কুন্ডু জানান, সরকারি নিয়মে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন বা পুর এলাকাকে শ্রম বিধি অনুসারে ‘এ’ জোন এবং অন্যগুলিকে ‘বি’ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মজুরিও ধার্য্য হয় সেইমত। তিনি বলেন, “সিমেন্ট কারখানার শ্রম বিরোধের বিষয়টি সরাসরি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের অধীনে। সে ক্ষেত্রে তারাই মেটাবেন জঙ্গিপুরের ওই সিমেন্ট কারখানার বিরোধ।” শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন অবশ্য বলেন, “রবিবার আমি ওই কারখানায় গিয়ে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসার চেষ্টা করব। আমরা চাই, মজুরি নিয়ে আলোচনা চলুক, পাশাপাশি চালু
থাকুক কাজও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy