Advertisement
E-Paper

তাড়ালি কেন হাঁস, খুন বৃদ্ধ

ওই দিন সন্ধ্যায় পুকুর থেকে বাড়ির হাঁস তুলছিলেন মহিলারা। সেই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন সহদেব। অচেনা লোক দেখে হাঁসগুলি ফের তড়িঘড়ি নেমে গিয়েছিল পুকুরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৬:২০
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কখনও পড়শির সজনে ডাল কখনও বা বাগানের তুলসি চারা ছাগলে মুড়িয়ে খাওয়া— নিতান্তই আটপৌরে বিবাদে পাশাপাশি দুই বাড়ির লাঠালাঠি এবং পরিণতিতে প্রাণহানি, এ ঘটনা মুর্শিদাবাদে নতুন নয়। সেই তালিকায় এ বার নয়া সংযোজন পুকুরের হাঁস-তোলা নিয়ে বিবাদ। মঙ্গলবার সেই বিবাদের জেরেই প্রাণ গেল ভরতপুরের বাগদিপাড়ার সহদেব ঘোষের (৬০)।

ওই দিন সন্ধ্যায় পুকুর থেকে বাড়ির হাঁস তুলছিলেন মহিলারা। সেই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন সহদেব। অচেনা লোক দেখে হাঁসগুলি ফের তড়িঘড়ি নেমে গিয়েছিল পুকুরে। তা নিয়েই ধুন্ধুমার বাঁধে দুই পরিবারে। সহদেববাবুর ছেলে চাঁদু জানান, তাঁদের পড়শি অজিত বাগদির পরিবারের মহিলারা তা নিয়ে সহদেবের সঙ্গে ঝগড়া জুড়ে দেন। তা থেকেই কথা কাটাকাটি, ক্রমে যা গড়ায় হাতাহাতিতে। লাঠি, বাঁশ, চেলাকাঠ শুরু হয় রীতিমতো লড়াই।

চাঁদু বলেন, ‘‘একটা চেলাকাঠ সজোরে এসে পড়ে বাবার মাথায়, ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবা।’’ ওই ঘটনায় আহত হন দুই পরিবারের অন্তত ছ’জন। পুলিশ ওই ঘটনায় অজিত বাগদির পরিবারের তিন জনের কোঁজ করছে বলে জানা গিয়েছে। পরিবারটি আপাতত পলাতক। কান্দি হাসপাতালে এখনও ভর্তি চাঁদুর স্ত্রী আদরী। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাগদির চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা পুলিশ জানায়, দুই পরিবারের পুরনো বিবাদ ছিল। ওই খুন পরিকল্পিত ভাবেই মনে হচ্ছে।

তবে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, অতি সামান্য বিষয় নিয়ে খুন-জখম এ জেলায় নতুন নয়। এর আগে ডোমকল, রানিনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় এই একই ঘটনা ঘটেছে। এই প্রবণতা কবে বন্ধ হবে,কে জানে!

Murder Kandi কান্দি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy