Advertisement
E-Paper

বিদ্যুৎ-বিধি শেখাচ্ছে দফতর

কী ভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার শেখাচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর? দফতরের লোকজন এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতনা শিবির করেছে। সেখানে হুকিং বা বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করার জন্য প্রচার করা হয়েছিল। দফতরের কান্দি বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক অনির্বান চোংদার জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০২:০৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা যেন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আর কী ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনাগুলি ঘটছে তা নিয়ে তদন্ত করছে বিদ্যুৎ দফতর। তবুও কমছে না বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। তাই এ বার লোকজনকে বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে শিবির করছে দফতরের কান্দি বিভাগ।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর গত একমাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাত জন মারা গিয়েছেন। জখম হয়েছেন পাঁচ জন। অধিকাংশ ঘটনাগুলিই ঘটেছে গ্রামাঞ্চলে। তাহলে কি হুকিং করে বিদ্যুতের সংযোগ করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটছে? বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘অধিকাংশ লোকজনই বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞ। অনেকেই হুকিং করেন। তার সকাল-বিকেল বিদ্যুতের তার নিয়ে নাড়াচাড়া করেন। অথচ তারা স্বাভাবিক কারণই বিদ্যুতের ব্যবহারবিধি জানেন না। দফতরের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মাত্র ২৫০ টাকা লাগে। কান্দি বিভাগে মাত্র ১২০০ জন নতুন সংযোগ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাদের অধিকাংশই পুরনো বিল শোধ করেননি। লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। বকেয়া বিল না মেটালে তাদের নতুন সংযোগও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’

কী ভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার শেখাচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর? দফতরের লোকজন এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতনা শিবির করেছে। সেখানে হুকিং বা বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করার জন্য প্রচার করা হয়েছিল। দফতরের কান্দি বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক অনির্বান চোংদার জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার না জানার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। আর একটা বিষয় হুকিং করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হচ্ছে। এর জন্য পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে সচেতনা শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের সংযোগ সকলকে দিতে আগে ফাঁকা এলাকা দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই তারের নীচেই লোকজন বসত বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতে শুরু করছেন। বাড়ি তৈরির অনুমোদনের জন্য পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেও সচেতন হতে হবে। তবেই মৃত্যুর ঘটনাগুলিকে কমানো যাবে।

Electricity Kandi Power Grid বিদ্যুত
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy