প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা পরেই রাজ্যের শাসক তৃণমূলের দু’গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনায় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। ওই ঘটনার পরে পুলিশ, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির দু’জন বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভরতপুর বিধানসভার সালার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর অনুগামীদের সঙ্গে ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের অনুগামীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মোট এগারো জন জখম হন। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, “সালারের মারপিটের ঘটনায় তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পঞ্চায়েত ভোটের মধ্যে শাসক দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসার ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্থিতে পড়েছেন শাসক দলের নেতৃত্ব। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, “এমন ঘটনা যত না হয় ততই দলের সংগঠনের জন্য ভাল।” ঘটনার পর পুলিশ ভরতপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ মির্জা ও শিক্ষ কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজুদ্দিন শেখ ও তৃণমূল কর্মী রোহন শেখকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার ধৃতদের কান্দি আদালতের জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক ভাস্কর মজুমদারের এজলাসে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা করার চেষ্টা, এলাকার শাক্তি শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “সালারের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে আমার মনেই। সালারের পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। যারা ঘটনাস্থলেই ছিল না সেই দু’জন কর্মাধ্যক্ষকে পরিকল্পিত ভাবে গ্রেফতার করল। এটা নিয়ে জেলার পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।” হুমায়ুন বলেন, “আমাদের দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু পুলিশ সেই দ্বন্দ্ব তৈরি করতে ও দ্বন্দ্ব জারি রাখতে মদত করছে। সেটা না হলে মারপিট হয়েছে একপক্ষের তিন জনকে গ্রেফতার করা হল, আর অন্য পক্ষের কাউকে গ্রেফতার করা হল না।” যদিও ওই ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশ ও প্রশাসন নিজের মতো কাজ করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy