আশঙ্কা সত্যি হলো! লালগোলার দুটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এসে পড়ল।
তাঁর ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠী’ বোর্ড গঠনে সক্রিয় জানতে পেরে লালগোলা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শুভরঞ্জন রায় টের পেয়ে বাহাদুরপুর ও নশিপুর পঞ্চায়েতে জয়ী অধিকাংশ দলীয় সদস্যকে গোপন ডেরায় লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু তাতেও এড়ানো গেল না গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার বোর্ড গঠনের সময়ে ওই দুটি পঞ্চায়েতে বিরোধী গোষ্ঠীর অনুগামী জয়ী সদস্যরা প্রধান ও উপ-প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দলের বিপক্ষে গিয়ে।
নশিপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান ও উপ-প্রধান পদে মিনারা বিবি ও মাহফুজ আলির নাম ঘোষণা করে। বিরোধীরা সাবেদা বিবি ও ইব্রাহিম শেখের নাম প্রধান ও উপ-প্রধান পদে প্রস্তাব করলে ভোটাভুটিতে দলীয় প্রার্থীদের হারিয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁরা জয়ী হন।
একই ভাবে বাহাদুরপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূূলের ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠী’র হাসিনা বিবি ও পম্পা হালদারকে ভোটাভুটিতে হারিয়ে প্রধান ও উপ-প্রধান জয়ী হন সালিমা খাতুন বিবি ও সুভাষ হালদার।
তবে ২১ সদস্যের পাইকপাড়া পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলের প্রধান তৃণমূলের বিলকিস বেগম ও উপ-প্রধান রজনী দাস নির্বাচিত হয়েছেন।
তৃণমূূলের শুভরঞ্জন রায় বলছেন, ‘‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে, তাঁদের সকলকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। জেলা নেতৃত্ব তাতে সম্মতি দিয়েছেন।’’
তবে প্রধান ও উপপ্রধান পদে কোনও নাম প্রস্তাব বা সমর্থন করার কথা অস্বীকার করে সারজেমান শেখ, হাসিনা বিবি, সাবেদা বিবি ও ইব্রাহিম শেখদের পাল্টা দাবি, ‘‘আমরা ব্লক সভাপতির আগে থেকে তৃণমূলে আছি। ভবিষ্যতেও থাকব।’’
এ জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নিয়ে বেলডাঙা- ১ ব্লকের মহুলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করল। একই ভাবে তারা দখল করেছে সাটুই-চৌরিগাছা পঞ্চায়েত। তবে ১টি আসনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও এ দিন বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের ১২ জন সদস্যকে দলে টেনে নওদার পাটিকাবাড়ি পঞ্চায়েত দখল করল শাসক দল। তা নিয়ে দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একমাত্রী জয়ী তৃণমূলের সদস্য গুলসনাহার বেগম বলেন, ‘‘আমাকে অন্ধকারে রেখে বিরোধীদের দলে টেনে যে কায়দায় বোর্ড গঠন করা হল, তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। প্রদান হওয়ার কথা আমার। গোটা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে লিখিত আকারে জানাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy