স্কুলের কাছের রাস্তায় একটি সিমেন্টবোঝাই লরি পিছন থেকে এসে কিশোরী পড়ুয়াকে পিষে দেয়। প্রতীকী ছবি।
গরমের ছুটি পড়ার আগের দিন স্কুলে পৌঁছতে পারল না নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। স্কুলের সামনের রাস্তায় তাকে পিষে দিল দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি মালবোঝাই লরি। শনিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর-রানাঘাট রাজ্য সড়কে এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ছাত্রীটির মৃত্যু হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। এর প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পুলিশের গাড়ি আটকে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অঞ্জনগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মুন্নি বাইন (১৫)-এর। তার বাড়ি মুগরাইল গ্রামে। কৃষ্ণনগর-রানাঘাট রাজ্য সড়কের ইউনাইটেড ক্লাবের মোড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। এমনকি, বিক্ষোভের সময় পুলিশের গাড়িও আটকে রাখেন তাঁরা। পরে পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রয়াত ছাত্রীর স্কুল সূত্রে খবর, স্কুলের কাছের রাস্তায় একটি সিমেন্টবোঝাই লরি পিছন থেকে এসে ওই পড়ুয়াকে পিষে দেয়। উত্তেজিত জনতা ছুটে গেলেও ঘাতক লরিটিকে আটক করা যায়নি। তড়িঘড়ি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ন্ত্রণহীন গতি, ওভারলোডিং এবং যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ঘটনা হয়েছে। অঞ্জনগড় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুপ্রতীপ রায় বলেন, ‘‘স্কুলের সামনের রাস্তায় লরি দাঁড় করিয়ে মালপত্র ওঠানো-নামানো হয়। যানবাহন বা তার গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। প্রশাসনের উদাসীনতায় এক পড়ুয়াকে হারালাম আমরা।’’ এমনকি, কয়েক মাস আগে এই রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়েরা।
ঘাতক লরিটির নামে ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতা কিশোরীর পরিবার। মৃতার বাবা অজয় বাইন বলেন, ‘‘প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যেটুকু শুনেছি, স্কুলে যাওয়ার পথে পিছন থেকে লরিটি এসে পিষে দেয় আমার মেয়েকে। ওই লরিটির খোঁজ করে চালকের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy