—প্রতীকী চিত্র।
প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চড়া আলুর দাম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুনের দামও। আদার দামও চড়া। অন্য মরসুমি আনাজের দামও তুলনামূলক ভাবে চড়া। যার প্রভাব পড়ছে আমবাঙালির হেঁশেলে।
আনাজের কারবারিদের একাংশের দাবি, প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। উচ্চফলনশীল জাতের সাধারণ আলু বিক্রি হচ্ছে প্রায় একই দামে। হিমঘর খোলার পরেও আলুর দাম কমেনি বলে দাবি আলুর কারবারিদের। আলুর কারবারিদের একাংশের দাবি, জেলার কান্দি মহকুমায়, তা ছাড়া বীরভূম, হুগলির বিভিন্ন হিমঘর থেকেও জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে আলু আসে। হরিহরপাড়ার এক পাইকারি আলু বিক্রেতা বলেন, “চাষির ঘরের আলু শেষ। বেশির ভাগ আলু অন্য জেলা থেকে আসছে। জোগান কম থাকায় এ বছর প্রথম থেকেই আলুর দাম চড়া।” শীতের শেষে অকাল বৃষ্টির ফলে আলুর ক্ষতিও দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে দাবি আলুর কারবারিদের।
অন্যদিকে প্রায় মাস খানেকের বেশি সময় ধরে চড়া পেঁয়াজের দাম। জেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। পাইকারিতে ১৮ থেকে ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। জেলায় পেঁয়াজ চাষ বেশি, উৎপাদন ভাল হওয়া সত্ত্বেও সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় খেত থেকে তোলার পরেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন চাষিরা। ফলে মে-জুন মাস থেকেই চড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম চড়া থাকার কারণ হিসেবে কারবারিদের দাবি, পড়শি দেশে পেঁয়াজ রফতানি ও নাসিকের পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়া।
আদা, রসুনের দামও চড়া। কারবারি দাবি, উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় আদার চাষ হয়। তা ছাড়া অধিকাংশ আদা আসে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে। মণিপুরের গন্ডগোলের পর থেকেই আদার দাম চড়া বলে দাবি আনাজের কারবারিদের। আদার দাম কিছুটা কমলেও ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আদা। অন্যদিকে মান অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রসুন।
অন্য দিকে, বৃষ্টির ঘাটতির কারণে এ বছর মরসুমি আনাজের চাষ ব্যাহত হয়েছে। সেই কারণেও বেগুন, ঝিঙে, পটল, বরবটি, করলা সহ অন্য মরসুমি আনাজের দাম অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা চড়া বলে দাবি আনাজের কারবারিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy