প্রতীকী ছবি।
শুভেন্দু অধিকারীর পথে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অনেক তৃণমূল নেতা হাঁটতে চাইছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। ফলে দলের অন্দরে যথেষ্ট দুশ্চিন্তা রয়েছে।
সব মিলিয়ে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক গঠিত। এর মধ্যে ৬টি রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা এবং ৮টি রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় অবস্থিত। ব্লকের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। বাম আমল থেকে রানাঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। ব্লকে তৃণমূলের একাধিক বর্তমান, প্রাক্তন নেতা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে ওই পঞ্চায়েত সমিতি এবং কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি বিপুল উকিল বলেন, “ওই ব্লকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েক জন সদস্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তার খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দলে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।”
এর পাল্টা অবশ্য রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক তৃণমুলের সভাপতি দেবাঞ্জন গুহঠাকুরতা বলেন, “আমাদের দল থেকে কেউ চলে যাচ্ছেন বলে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। অনেক বড় দল। তাতে ভুল নিজেদের মধ্যে বোঝাবুঝি হতে পারে। পরে সেটা মিটে যায়। আমাদের দলে কোনও সমস্যা হলে সেটা বসিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হয়।” রানাঘাট উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক। এখানকার বিধায়ক তৃণমূলের সমীর পোদ্দার। তাঁর স্ত্রী মিতা পোদ্দার রানাঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। সমীরবাবুর কথায়, ‘‘আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই যে, আমার বিধানসবা এলাকা থেকে তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।’’
তবে তাঁরা যাই বলুন, বিজেপির দাবি, এই অঞ্চলে শাসক দলের বিভিন্ন নেতার মধ্যে দলত্যাগের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁরা চাইছেন, বিজেপিতে যোগ দিতে কারণ, তাঁরা মনে করছেন দিনের পর দিন দলের মধ্যে তাঁদের প্রতি অন্যায় হয়েছে। রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহের সঙ্গে আপাতত জেলা নেতৃত্বের খুব একটা সু-সম্পর্ক নেই। কিছু দিন ধরে শঙ্করবাবুও বিভিন্ন জায়গায় নিজের ক্ষোভ নানা ভাবে প্রকাশ করেছেন। এর প্রভাবও ভোটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy