প্রতীকী ছবি
এক দিকে পুলিশি ধরপাকড়, অন্য দিকে দল থেকে এক পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কার। জোড়া ঘটনায় রাজনৈতিক তরজায় ফের শোরগোল পড়েছে জঙ্গিপুরের তৃণমূলের অন্দরে।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মঙ্গলবার জঙ্গিপুরের জোতকমলে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। সকলেই তৃণমূলের জোতকমল পঞ্চায়েতের প্রধানের অনুগত। সেই প্রধান তথা দলের অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষকে বুধবার দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হলেও পরে তা খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘‘সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করবে দল। রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার আগে নয়।’’
এ দিন দলের জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ বলেন, ‘‘একই ব্যক্তি পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি দুই পদেই থাকলেও, তাঁকে এই লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে সরানোর চেষ্টা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও কথা বলে সমস্ত ঘটনা তাঁকে জানিয়েছি। তিনিও বলেছেন এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কেউ আলোচনা করেনি। লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক স্তরে কোনও রদবদল করা যাবে না জেলায়।’’
বিকাশ জানান, ফরাক্কাতেও ক’দিন আগে একই ভাবে সেখানকার ব্লক সভাপতি ৪ জন অঞ্চল সভাপতিকে অপসারণ করেছিলেন। তাও শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে খারিজ করে অপসারিতদেরই পুনর্বহাল করা হয়। জোতকমলের প্রধান ও সভাপতিকেও তাই কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক আখরুজ্জামানের অভিযোগ, “তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করতে চাইছেন। এতে দলের খারাপ হচ্ছে। তাই ব্লকের নেতারা বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
এ দিন বাপি অবশ্য দলের বিধায়কের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “আমি তৃণমূলের পুরোনো কর্মী। আর আখতারুজ্জামান সে দিন কংগ্রেস ছেড়ে ঢুকেছেন দলে। এখন দলের দুর্দিনের কর্মীদের দল থেকে তাড়াতে চাইছেন। আমি তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলের হয়েই কাজ করছি।”
তাদের ঘরোয়া অশান্তিতে বিজেপিকে জড়ানোয় তার প্রতিবাদ করেছে বিজেপিও। বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের সহ সভাপতি বংশী গড়াই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করে জয়ী হন বাপি ঘোষেরা। তার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ তো নেই, ভবিষ্যতেও তাকে দলে নেবে না বিজেপি।’’
এই গোটা ঘটনায় ত-ণমূলের কর্মীরা উদ্বিগ্ন ও বিরক্ত। তাঁদের কথায়, দলের নেতাদের আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy