আজ, মঙ্গলবার ধুলিয়ান ঘুরে সুতিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে কখনও জেলায় আসতে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই তটস্থ শমসেরগঞ্জ ও সুতির তৃণমূল নেতারা। তটস্থ দুই ব্লকের পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারাও।
সোমবার দিনভর দুই ব্লকের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেড়ালেন দলের নেতাদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তারাও। তবে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের মুখে কুলুপ। তাঁরা ঠিক এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না, সফরসূচিতে যাই থাক, মুখ্যমন্ত্রী শমসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে কোথায় যাবেন? তবে দলের সূত্রে খবর, কোথায় কেমন হিংসা হয়েছে, তার রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রয়েছে।
জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায়কে বদলি করা হয়েছে। শমসেরগঞ্জের ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিংসায় ২৮৩ জনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, যা আবাস প্রকল্পে ফের বানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব মতো আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়েছে প্রায় সকলকেই। তবু ক্ষোভ মিটছে না কিছু কিছু এলাকায়।
সোমবারও পুলিশের বিরুদ্ধে এক দফা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সে বিক্ষোভ আপাতত স্তিমিত করতে বেতবোনা ও জাফরাবাদ পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সোমবার সেখানে যান তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান ও বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে ঘুরে কথা বলেন মানুষের সঙ্গে। উদ্দেশ্য তাঁদের শান্ত করা। পুলিশও তটস্থ কম নয়। কারণ এ পর্যন্ত বেতবোনা ও জাফরাবাদে নানা দলের অনেক নেতা এসেছেন। সকলের কাছেই এলাকার মানুষ ‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার’ বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ শিবির চেয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী এলাকায় এলে যে এই ক্যাম্পের দাবি উঠবে, তা জানেন প্রশাসনিক কর্তা থেকে তৃণমূল নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবির কিভাবে মোকাবিলা করেন, এটা যেমন এখন বড় প্রশ্ন শমসেরগঞ্জে, তেমনই আজ সুতির ছাবঘাটি স্কুল মাঠে জমায়েতও বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেতাদের কাছে।
এলাকায় যে ক্ষোভ রয়েছে, তা স্বীকার করেছেন সাংসদ খলিলুর রহমানও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)