স্কুল নির্বাচনের দিন খুন হয়েছিলেন সিপিএম নেতা। সেই ঘটনার প্রায় ন’বছর পর চাপড়ার বেতবেড়িয়া গ্রামে ফের লালপতাকা উড়ল। মিছিল করল সিপিএম। বুধবার বেতবেড়িয়া ও পাশের আরও দু’টি গ্রামের ১০টি বুথে তারা মিছিল করে। এতে অনেকটা যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব।
২০১৩ সালে বেতবেড়িয়ায় স্কুল ভোটের দিন বাড়ির উঠোনে খুন হয়েছিলেন সিপিএম নেতা আশাদুল শেখ। তাঁকে পরিবারের লোকের সামনে কুপিয়ে খুন করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এলাকার ৫০টি বাড়িতে। গ্রাম ছাড়া হয় সিপিএম-সমর্থক ১১৫টি পরিবার। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নাম জড়িয়েছিল হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন তৃণমূল প্রধানের স্বামী আশরফ ঘরামীর। ২০১৯ সালে সেই গ্রামছাড়াদের নিয়ে মিছিল করে গ্রামে ঢোকায় বিজেপি।
এরই মধ্যে একটি খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ আশরফকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের সুযোগ নিয়ে অন্যরাও গ্রামে ফিরতে থাকেন। চাপড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, “কাজটা সহজ ছিল না। তৃণমূলের লোকজন লাগাতার তাঁদের ভয় দেখাতে থাকে। কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে আমাদের দলের লোকেরা আবার সক্রিয় হতে থাকেন।”
সম্প্রতি বুথে-বুথে মিছিলের প্রস্তুতি শুরু হয়। তার পোস্টার লাগানোর জন্য ২০১৩ সালে নিহত আশাদুল শেখের ভাই জাহান্দার শেখকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। সিপিএম-সমর্থক পরিবারগুলিকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন। বুধবার বিকেলে মিছিল হয়।
বেতবেড়িয়ার পাঁচটি বুথের পাশাপাশি টিয়া ও ফুলবাড়ি গ্রামের আরও পাঁচটি বুথের উপর দিয়ে যায় এই মিছিল। মিছিলে প্রায় ৭৫ জন পা মিলিয়েছেন। তার মধ্যে ৫০ জন ছিলেন বেতবেড়িয়া গ্রামের বাসন্দা। সিপিএমের জেলা ও এরিয়া কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যদিও এই মিছিলকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। তৃণমূলের চাপড়া ব্লক সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম বলছেন, “দু’চার জন হতাশাগ্রস্ত লোক কোথায় কী মিছিল করলেন তাকে আমরা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি না। মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। পঞ্চায়েত ভোটে নিরঙ্কুশ ভাবে তাঁরা আমাদের জয়ী করবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy