বহরমপুর স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র।
লোকাল ট্রেন চলাচল শুরুর তিন দিনের মাথায় কালীপুজো। শনিবার উৎসবের রাতে ট্রেনে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা রেখেছিলেন যথাযথ। কিন্তু তাঁদের অবাক করে এ দিন লালগোলা-শিয়ালদহ শাখার ট্রেনগুলিতে ভিড় হল সামান্যই। শনিবার দিনটি ছুটির দিন হিসেবেই ট্রেন-বিমুখ হয়ে কাটানো পছন্দ করলেন সাধারণ মানুষ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শাখায় আপ এবং ডাউন ট্রেনের চলাচলের সময়ে বিস্তর ফারাক থাকায় উৎসবের দিন মানুষ ট্রেনযাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন।
রেলের দেওয়া নতুন সময় সূচি অনুযায়ী রানাঘাট থেকে ১টা ১৫তে ছেড়ে আসা লোকাল লালগোলা পৌঁছয় ৪টে ৩০মিনিটে। এর পরের ট্রেনগুলি একটি পৌঁছয় চার ঘণ্টা পরে রাত ৮টা ২০ মিনিটে। শিয়ালদহ-লালগোলা প্যাসেঞ্জার পৌঁছয় রাত দশটায়। একই ভাবে দুপুর ২টোর পর লালগোলা থেকে শেষ ট্রেন রানাঘাট গিয়েছে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে।
আট মাসের কাছাকাছি ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে করোনা-কালের লোকাল চলাচল শুরু হয়েছে রেলের আদর্শ আচরণবিধি মেনে। শিয়ালদহ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জেরে রেলের হিসেবে শহরতলিরও তকমা নেই কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা পর্যন্ত স্টেশনগুলির। তবু শিয়ালদহের সঙ্গে জুড়ে থাকায় এই শাখায় পাঁচ জোড়া লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা। নামমাত্র ট্রেন চালানোয় গত চার দিনে স্টেশনগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছিল যাত্রীদের।
অথচ ভিড় ঠেকাতেই ট্রেন চলাচল এত দিন বন্ধ ছিল বলে দাবি ছিল পূর্ব রেলের। আর এই ভিড় হওয়ায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই গেল বলে দাবি করেন মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কর্মাসের যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য। তিনি মনে করেন, ‘‘বেশি ট্রেন চলাচল করলে এক দিকে যেমন ভিড় কমবে, তেমনই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বহু মানুষের রোজগারও ফিরবে। অন্য জায়গার মতো আমাদের এই লাইনেও বেশি ট্রেন না চালালে হবে না। কম ট্রেনে ভিড়ও হবে, সংক্রমণও বাড়বে।’’
স্বপনবাবুর কথার সুর স্টেশন লাগোয়া চায়ের দোকান, সাইকেল গ্যারাজ, টুকটুক চালকদের কথাতেও। বহরমপুর স্টেশনের সাইকেল গ্যারাজ কর্মী সৌমিত্র পাল বলেন, “গত তিন দিনে একশোর কাছাকাছি সাইকেল রাখা ছিল গ্যারাজে। ভেবেছিলাম কালীপুজোর দিন তা বাড়বে। কিন্তু আজ প্রায় ফাঁকাই গেল সারা দিন।” ইতিমধ্যে লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় বেশি ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়ে রেলমন্ত্রককে চিঠিও লিখেছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy