প্রতীকী চিত্র
প্রায় এক বছরের সম্পর্ক রবিউল ইসলাম ও শম্পা খাতুনের। দুই বাড়ি থেকেও বিয়ের কথা মেনে নেওয়া হয়েছিল। তার পরেও শম্পাকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল রবিউল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় হতবাক রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাসিন্দারাও।
হাসপাতাল ও পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে কিভাবে তাঁকে বন্ধ ঘরের মধ্যে আটকে রেখে রবিউল ইসলাম, তার মা ও দুই আত্মীয় তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার বিবরণ নিজেই বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন শম্পা। শম্পা জানান, তাঁদের বালিঘাটার বাড়ি থেকে মঙ্গলবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গাড়িঘাট পল্লিতে রবিউলের বাড়িতে। সেখানেই তাঁকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শম্পার দাবি, এরপর একসময় ঘরে ঢুকে রবিউলরা শম্পার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘরের মধ্যেই শম্পা ছুটোছুটি করতে থাকেন। পরে ঘরের একটি ভাঙা জানালা টপকে তিনি বেরিয়ে আসেন। ছুটে গিয়ে রাস্তায় একটি টোটোয় চেপে বসলে, টোটোচালকই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বেশি কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না ওই তরুণী। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেন। রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশও যায় হাসপাতালে। তাঁরাও জিজ্ঞাসাবাদ করে তরুণীকে। অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়াই তাদের এখনও ধরা যায়নি।
তরুণীর বাবা ডলা শেখ বলেন, “দিন চারেক আগে ছেলেটি একাই বাড়িতে এসে শম্পাকে বিয়ের করার প্রস্তাব দেয় আমাকে। আমি তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। ওর মায়ের সঙ্গে কথাও বলি। তিনি বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ ছেলেটি ও তাঁর মা মানা বিবি সহ আরও দুই মহিলা আমাদের বাড়িতে আসেন। মেয়েকে তাঁরা নিয়ে যেতে চান। স্বাভাবিক ভাবেই আপত্তি করিনি।”
কিন্তু বেলা ৯টা নাগাদ তিনিই চমকে উটে দেখতে পান, তাঁর মেয়ে দগ্ধ অবস্থায় ছুটে একটি টোটো থেকে নেমে হাসপাতালে ঢুকছে। ডলা জানান, এরপর মেয়ে চিকিতসকের কাছে আগুন লাগার কারণ খুলে বলেন। ডলার কথায়, “ঘন্টা চারেকের মধ্যে কী এমন ঘটল যে মেয়েকে এই ভাবে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করতে হবে?”
পুলিশের অবশ্য সন্দেহ, ওই তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলা হয় বিয়ে হবে না। মেয়ে প্রতিবাদ করায় ঘরে তালা বন্ধ করে দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy