সাহাবুল শেখ।—নিজস্ব চিত্র
অপহরণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পলাতাক আরও এক অভিযুক্ত। ১৩ এপ্রিল ইসলামপুর বাজার থেকে নিখোঁজ হয় ইসলামপুরের হড়হড়িয়া গ্রামের সাহাবুল শেখ। পরে তাঁর পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। আর সেই ফোনের সূত্র ধরেই বুধবার কালিয়াচকের মোজামপুর থেকে উদ্ধার করে সাহাবুলকে। পুলিশের দাবি, পলাতক সানাউল্লা খানের বাড়িতেই ছিল সাহাবুল। অল্পের জন্য সে পালিয়ে গিয়েছে। তবে ঘটনায় অভিযুক্ত ইসলামপুর এলাকার বাকি তিন জন রাকু শেখ, মিনারুল ও রাজিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন যুবক তাঁকে রাজমিস্ত্রির কাজের টোপ দিয়ে মালদার কালিয়াচকের মোজামপুরে নিয়ে যায়। সেখানে সানাউল্লারবাড়িতে রেখে ফোনে দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনায় দিশেহারা হয়ে সাহাবুলের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ পেয়ে মাঠে নামে পুলিশ। পুলিশের দাবি, যে ফোন থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছিল সেই ফোনের সিম ধরে মালদার কালিয়াচকের মোজামপুর এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। প্রথমে সুবিধে করতে না পারলেও পরে তদন্তে উঠে আসে সানাউল্লার নাম। সানাউল্লার বাড়িতেই উদ্ধার হয় সাহাবুল।
স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে টানাটানির সংসার সাহাবুলের। দিন মজুরি করেই চলে সংসার। স্ত্রী তর্জিমা বিবির কথায়, ‘‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। দু’লাখ টাকা কোথায় পাব?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘স্বামীকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ।’’ দাদা নজরুল ইসলামের কথায়, ‘‘প্রায় মাস খানেক ধরে ভাই নিখোঁজ হয়েছিল। প্রথমে এলাকায় খুজে না পেয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে গোটা বিষয়টি বলি।’’
পুলিশ জানায়, মিনারুল রাজিকুলের নামে এর আগে থানায় অভিযোগ না থাকলেও রাকুর নামে অনেক অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। বিয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy