বোনাস তো দূরের কথা পুজোর মাসে এখনও বেতনই পেলেন না কৃষ্ণনগর পুরসভার দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়া কর্মীরা। ফলে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যা নিয়ে পুরসভার অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রায় সমস্ত দফতরেই দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়া মোট সাতশো কর্মী আছে। পুরসভার বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর দাবি, নিজস্ব তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে বেতন বোনাস দিতে দেরি হচ্ছে। আবার প্রাক্তন পুরপ্রধানের গোষ্ঠীর পুরপ্রতিনিধিদের দাবি, বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এক শ্রেণির কর্মীকে ছাটাই করতে গিয়েই পরিস্থিতি জটিল করে ফেলাতেই বেতন ও বোনাস দিতে সমস্যা হচ্ছে।
২০২২ সালের ১৬ মার্চ রিতা দাস পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয় যে প্রত্যেক পুরপ্রতিনিধি নিজের ওয়ার্ড থেকে একজন করে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে পারবেন। যদিও পরবর্তীতে দেখা যায় যে তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিদের ওয়ার্ডগুলিতে একাধিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
পুরসভার কার্যকরি পুরপ্রধান নরেশচন্দ্র দাস বলেন, “পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে এদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হয়। সেই তহবিলে সমস্যা আছে। আমরা সেই সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত ফেলে বেতন দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
আর এ বিষয়ে পুরপ্রধান পদ থেকে অপসারিত রিতা বলেন, “তহবিলে কোনও সমস্যা নেই। আমি তো এতদিন দিয়ে এসেছি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)