Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Berhampore

Murshidabad Murder: সুতপাই ভুলতে দেয়নি, উস্কানি দিত, বার বার দেখা করতে বলত, বলছেন সুশান্তের পিসি

কথায় কথায় সুতপার প্রসঙ্গ উঠতেই রেগে যান রানি। বিরক্ত হয়ে তাঁর অভিযোগ, সুশান্ত সম্পর্কের কথা ভুলে যেতে চেয়েছিল। সুতপাই তা হতে দেয়নি।

সুতপার দিকে আঙুল তুললেন সুশান্তের পিসি।

সুতপার দিকে আঙুল তুললেন সুশান্তের পিসি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২২ ০২:১৮
Share: Save:

সম্পর্কে ইতি পড়ার পরেও তাঁর মেয়েকে বার বার ফোন করে সুশান্ত চৌধুরী উত্যক্ত করত বলে দাবি করেছেন সুতপা চৌধুরীর বাবা। এ বার সুশান্তের পরিবারও এই চরম পরিণতির জন্য সুতপার দিকে আঙুল তুলল। সুশান্তের পিসি রানি চৌধুরীর দাবি, সুতপাই তাঁর ভাইপোকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে দেননি। তাঁর অনুমান, ক্লাবের ছেলেদের ডেকে মারধর করার ঘটনায় সুশান্তের মনে রাগ তৈরি হয়েছিল। সেই রাগ থেকেই সুতপাকে খুন করে থাকতে পারে সুশান্ত।

পিসির বাড়িতে থেকেই বড় হয়েছে সুশান্ত। রানির দাবি, তাঁর নিজের কোনও ছেলেমেয়ে নেই। সুশান্তকেই সন্তান স্নেহে মানুষ করেছেন তিনি। ছোট্ট সুশান্তের ছোটবেলার স্মৃতি আওড়াতে আওড়াতে তাঁর মুখে শুধু একটাই কথা, ‘‘বিশ্বাসই করতে পারছি না, সুশান্ত খুন করেছে!’’

রানির দাবি, সুশান্ত ছোট থেকেই শৃঙ্খলার মধ্যে বেড়ে উঠেছে। তার পরেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটে গেল, মাথায় ঢুকছে না তাঁর। রানির কথায়, ‘‘ওঁর (সুশান্ত) পিসেমশাই পুলিশে চাকরি করতেন। ওঁর বাবাও তো পুলিশের কনস্টেবল। কড়া শাসনের মধ্যে বড় হয়েছে ও। কবে এবং কী ভাবে এতটা বদলে গেল ও! কিছুই বুঝতে পারছি না।’’

কথায় কথায় সুতপার প্রসঙ্গ উঠতেই রেগে যান রানি। বিরক্ত হয়ে তাঁর অভিযোগ, সুশান্ত সম্পর্কের কথা ভুলে যেতে চেয়েছিল। সুতপাই তা হতে দেয়নি। বার বার দেখা করতে বলে সুতপাই ‘উস্কে’ দিতেন বলে দাবি করেন রানি। তাঁর কথায়, ‘‘সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিল সুশান্ত। অনেক বদলেও গিয়েছিল। কিন্তু, ওই মেয়েটাই (সুতপা) ওকে ভুলতে দেয়নি। বার বার উস্কানি দিত। দেখাও করতে বলত বার বার।’’

পুলিশের তদন্তে আগেই জানা গিয়েছে, সুতপার কাছ থেকে দূরে রাখতে সুশান্তকে ক্লাবের ছেলেদের দিয়ে ধমক দেওয়া হয়েছিল। সুশান্তের পরিবারের অভিযোগ, ছেলেকে মারধরও করা হয়েছিল সেই সময়। ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই রানি বলেন, ‘‘ওদের (সুশান্ত ও সুতপা) মধ্যে ১০ বছর সম্পর্ক ছিল। এতগুলো বছরে ওই মেয়েটাকে কত দামি দামি গিফ্ট কিনে দিয়েছে সুশান্ত। কত ভালবাসত! তার পরেও ক্লাবের ছেলে ডেকে ওকে মার খাইয়েছিল ওরা। হয়তো সেই রাগ থেকেই এই সব করে ফেলেছে ছেলেটা।’’

যদিও সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী দাবি করেন, প্রেম ভাঙার পর সুশান্তই কয়েক বছর ধরে মেয়েকে উত্যক্ত করছিল। সুতপা একাধিক বার সুশান্তের নম্বর ব্লক করেছেন। একাধিক বার মোবাইল ফোনের সিমও বদলেছেন। তার পরেও থামানো যায়নি সুশান্তকে। স্বাধীন বলেন, ‘‘সুশান্তের কাছ থেকে রেহাই পেতেই মেয়েকে বহরমপুর গার্লস কলেজে ভর্তি করেছিলাম। তা-ও বাঁচাতে পারলাম না ওঁকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampore Murshidabad Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE