Advertisement
৩১ মার্চ ২০২৩
TMC leader murder

নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনে বাংলাদেশি যোগ! মতিরুল খুনের নেপথ্যে উঠে এল নতুন তথ্য

পুলিশ সূত্রে খবর, আসান সেখ নামে এক ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মতিরুলকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে মোট ৮ জন জড়ো হন।

গত ২৪ নভেম্বর খুন হন তৃণমূল নেতা। এর পর ভিন্ রাজ্য থেকেও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

গত ২৪ নভেম্বর খুন হন তৃণমূল নেতা। এর পর ভিন্ রাজ্য থেকেও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
থানারপাড়া শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৩০
Share: Save:

নওদায় তৃণমূল নেতার খুনে মিলল বাংলাদেশি যোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতাকে খুন করতে যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছে সেটাতেও বাংলাদেশের এক সুপারি কিলারের যোগ থাকতে পারে।

Advertisement

গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের নওদায় বোমা-গুলি ছুড়ে নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশের ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’-এর যৌথ অভিযানে নদিয়ার মুরুটিয়া থানা এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। দাবি, এই হত্যারহস্যের প্রায় কিনারা করে ফেলেছে পুলিশ। রবিবার পর্যন্ত খুনের ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা ৪। তবে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে জেলা পুলিশের বিশেষ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে আরও ২ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের স্থানীয় আদালতে তোলার পর বিশেষ রিমান্ডে জেলায় নিয়ে আসা হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, আসান সেখ নামে এক ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মতিরুলকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে মোট ৮ জন জড়ো হন। তাদের মধ্যে ৫ জন দক্ষ ‘শুটার’ এবং ‘সুপারি কিলার’ ছিলেন। তাদেরই এক জন বাংলাদেশি বলে অনুমান করছে পুলিশ। এখন তারও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

তৃণমূল নেতার খুনের পিছনে সম্ভাব্য দু’টি কারণ উঠে আসছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে থানারপাড়ার আখড়াপাড়া গ্রামে একটি ধর্মীয় জলসা চলাকালীন ঝামেলায় জড়ায় দু’পক্ষ। বোমাবাজি এবং খুনের ঘটনা ঘটে। মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল নেতা মতিরুল। ওই মামলায় গ্রেফতার হন মোট ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাই মতিরুলের খুনের নেপথ্যে প্রতিহিংসা তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

Advertisement

এ ছাড়া, একটি ইটভাটাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল মতিরুল ও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর টিনা সাহা ভৌমিকের। মতিরুলের স্ত্রী রিনার অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ ভাবে ওই ভাটার ৪০ শতাংশ শেয়ার কব্জা করে টিনা। ভাটার অংশিদারিত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন মতিরুল। এ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়। আপাতত আদালতের নির্দেশে ভাটাটি বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মনিরুলকে খুন হতে হয়ে বলে অনুমান করছে পুলিশ।

এ নিয়ে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনে বাংলাদেশি যোগের ব্যাপারেও তদন্ত চলছে। খুনের পিছনে সুপারি কিলারের কোনও ভূমিকা আছে কি না, সেটাও তদন্তসাপেক্ষ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.