Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
farakka

Water Crisis: জলসঙ্কট কাটাতে ৪০টি পাম্প

তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জলের প্রয়োজন হয় মূলত দু’টি কারণে। ‘স্টিম’ তৈরি করে টারবাইনকে ঘোরানো এবং ইউনিটের সমস্ত যন্ত্রাংশকে ঠান্ডা করা।

ইনটেক ক্যানাল, সঙ্কট  কাটাতে জল মজুতের ব্যবস্থা। নিজস্ব চিত্র

ইনটেক ক্যানাল, সঙ্কট কাটাতে জল মজুতের ব্যবস্থা। নিজস্ব চিত্র

বিমান হাজরা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৩৯
Share: Save:

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি মতো জলবণ্টন শুরু হতেই ফরাক্কায় টান পড়েছে গঙ্গার জলে। জল সঙ্কট মোকাবিলায় তাই ফরাক্কার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইনটেক ক্যানালকে প্রস্তুত রাখল এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বার্জের উপর বসানো ৪০টি পাম্পকেও। ফলে এ বছর জল সঙ্কটে ফরাক্কার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দিল এনটিপিসি। ফরাক্কা থেকে এ রাজ্য বিদ্যুৎ পায় ৩৩ শতাংশ। গরমের সময় পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্যেই বিদ্যুতের চাহিদা আছে বেশি। তাই ফরাক্কার প্রতিটি ইউনিটে ৫ শতাংশ করে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

১৯৯৭ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে গঙ্গার জল বণ্টন চুক্তি কার্যকরী হয়েছে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই জল বণ্টন চুক্তি মত প্রতি দশ দিন অন্তর কম, বেশি জল পায় দুই দেশ। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ৪০ হাজার কিউসেক করে জল পায় ভারত। সমস্যা হয় না সেক্ষেত্রে। সমস্যা দেখা দেয় মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত। এই সময় বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক। তখন ভারতের ভাগে প্রাপ্ত জলের পরিমাণ ৩৫ হাজার কিউসেকের নীচে নেমে আসে।

জলের সেই সঙ্কট কাটাতেই নয়া ইনটেক ক্যানাল ব্যবস্থায় ফিডার ক্যানালে জলস্তর কমে গেলেও স্থায়ী ভাবে বসানো পাম্পের সাহায্যে এনটিপিসি নিজেদের ক্যানালে পর্যাপ্ত জল আগে থেকে মজুত করে রাখতে পারবে।

তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জলের প্রয়োজন হয় মূলত দু’টি কারণে। ‘স্টিম’ তৈরি করে টারবাইনকে ঘোরানো এবং ইউনিটের সমস্ত যন্ত্রাংশকে ঠান্ডা করা। এর জন্য ফরাক্কায় এনটিপিসি-র মোট ২১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬টি ইউনিটে ৩৩০০ হাজার কিউসেক জলের জোগান প্রয়োজন। প্রতি ঘণ্টায় প্রয়োজন ২২৫০০০ কিউবিক মিটার জল। ফিডার ক্যানালে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল সরবরাহ হলে ভাগীরথীতে জলস্তর ১৭.৫ মিটারের উপরে থাকে। ওই উচ্চতাতে জল থাকলেই সে জল প্ল্যান্টের নিজস্ব ক্যানালে অবাধে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু তার কম জলস্তর হলেই সমস্যা।

এনটিপিসির ফরাক্কা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিফ জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার বুধবার ফরাক্কায় বলেন, “এই মুহূর্তে ৮০ থেকে ৯০ হাজার কিউসেক জলস্তর রয়েছে গঙ্গায়। জল এ বারে তার চেয়ে কমলেও কোনও সমস্যা হবে না। ১৩টি বার্জে ৪০টি পাম্প মজুত রাখা হয়েছে। ফিডার ক্যানালে জলস্তর সাড়ে ১৭ মিটারের নীচে নামলেই সেই পাম্পগুলি চালানো হবে যাতে ইনটেক ক্যানালে প্রয়োজনীয় পরিমাণে জল মেলে। কাজেই আশঙ্কার কিছু নেই। ২০১৬ সালের পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না।” জল সঙ্কটের কারণে ২০১৬ সালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি ইউনিটের সবই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় এনটিপিসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

farakka Water crisis ntpc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE