প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রকে কুপিয়ে খুন। প্রতীকী চিত্র।
মায়ের সামনে প্যারা মেডিক্যাল পড়ুয়াকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার নাজিরপুরের মৃগী এলাকায়। পুলিশ যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতের নাম হাসিবুল রহমান বিশ্বাস (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসিবুলের বাবা চাঁদ আলি বিশ্বাস নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ী। নিহত হাসিবুল কর্নাটকের একটি বেসরকারি প্যারা মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সপ্তাহখানেক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। চাঁদ আলি দিন তিনেক হল ব্যবসায়িক কাজে রয়েছেন ওড়িশায়। বাড়িতে ছিলেন হাসিবুল এবং তাঁর সারজিনা বিবি। তাঁর অভিযোগ, দেড় শতক জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের সঙ্গে বিবাদ প্রতিবেশী মহরম শেখের। বেশ কয়েক বার সালিশি বসিয়েও সেই বিবাদের সমাধান হয়নি বলে দাবি সারজিনার। তাঁর অভিযোগ, বুধবার রাত ১২টা নাগাদ হাসিবুলের গোঙানি শুনে তাঁর ঘরে ছুটে যান সারজিনা। তাঁর দাবি, ‘‘ছেলের ঘরে ছুটে গিয়ে দেখি মহরম হাঁসুয়া দিয়ে আমার ছেলেকে কোপাচ্ছে। গোটা ঘর তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আমি বাধা দিতে গেলে মহরম আমাকেও মারধর করে। চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে ও পালিয়ে যায়। আমি মহরমের ফাঁসি চাই।’’
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনেই ওড়িশা থেকে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন চাঁদ আলি। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘মাত্র দেড় শতক জমির জন্য ছেলেটাকে ওরা মেরে ফেলল। আগে বললে জমিটাই দিয়ে দিতাম।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাজিরপুর তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ এবং তেহট্ট থানার পুলিশ। সারজিনার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে মহরম এবং তাঁর বাড়ির সকলে রাত থেকে পলাতক। মহরমের খোঁজে চলছে তল্লাশি। বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গ্রামীণ) কৃষানু রায় বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy