E-Paper

এক দশকের শাসনে পদ্মের নয়া চ্যালেঞ্জ

পঞ্চায়েতের সদস্যদের দল বদলের বিষয়টিও পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের অন্যতম নির্ণায়ক হয়ে উঠেছে। কারণ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী চার জন নির্দল প্রার্থী পরে তৃণমূলে যোগ দেন।

সুদেব দাস

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৪৬
নোকারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র

নোকারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র

এক সময়ে সিপিএমের দখলে থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে এই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে।

গ্রামের অধিকাংশ মানুষজন ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির তুলনায় নির্দল প্রার্থীরা এখানে তৃণমূলের কাছে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত না হওয়ায় এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে লড়াইটা মূলত তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির হবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আবার পঞ্চায়েতের সদস্যদের দল বদলের বিষয়টিও পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের অন্যতম নির্ণায়ক হয়ে উঠেছে। কারণ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী চার জন নির্দল প্রার্থী পরে তৃণমূলে যোগ দেন। আবার বিজেপির টিকিটে জয়ী দু’জন সদস্যের মধ্যে এক জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

এই পঞ্চায়েতে গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলকে পিছনে ফেলে প্রায় সাড়ে পাঁচশো ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে সেই ব্যবধান বেড়ে হয় প্রায় এক হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত বোর্ড দখলে রাখা তৃণমূলের কাছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

আবাস ও একশো দিনের কাজের অনিয়ম নিয়ে বিজেপি সুর চড়াচ্ছে। তৃণমূলের হাতিয়ার, দুয়ারে সরকার আর উন্নয়নের প্রচার। উল্টো দিকে, সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠবেই। তবে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের টিকিট পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়টিও ভোট কাটাকাটির অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Panchayat Election TMC BJP CPIM

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy