স্কুটারের পিছনে বসে পুলিশ কনস্টেবল দেবাশিস কর্মকারই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে তাঁর কাকাকে খুন করেছেন বলে দাবি পুলিশের। যদিও কখন তিনি তাঁর কর্মস্থল, বিধাননগরের আরক্ষা ভবন থেকে এসে খুন করে আবার সেখানে ফিরে গেলেন, তা নিয়ে কিছু প্রশ্নও রয়েছে।
ইতিমধ্যে গয়েশপুরে প্রাক্তন পুলিশকর্মী জনার্দন কর্মকারকে খুনের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে-ই স্কুটার চালাচ্ছিল বলে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সানি প্রসাদ, বয়স বছর উনিশ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায় সুবোধ সরণী এলাকায়। দেবাশিসকে পিছনে বসিয়ে সে-ই স্কুটার চালাচ্ছিল। আজ, মঙ্গলবার তাকে কল্যাণী আদালতে হাজির করানোর কথা রয়েছে।
যে দু’জনকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার মধ্যে দেবাশিস ছাড়াও রয়েছে তাঁদের পৈতৃক বাড়ির খরিদ্দার অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তবে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দু’জনকে জেরা করার পরেই পুলিশ বুঝে যায় যে অভিজিতের সঙ্গে ঘটনার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে। বরং দেবাশিসকে নিয়েই তারা বেশি মাথা ঘামাচ্ছিল। পুলিশের দাবি, জেরায় সে খুনের কথা কবুল করেছে। পুলিশের দাবি, তবে যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল তা রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। তবে সেটি পুলিশের ব্যবহার্য সার্ভিস রিভলভার নয় বলেই জেরায় জেনেছে পুলিশ। স্কুটারটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।