Advertisement
E-Paper

হাঁসখালি থানার ছায়া কৃষ্ণনগরে

নিছক সন্দেহবশে এক তরুণীকে টানা পাঁচ দিন ধরে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ পেয়ে নিজেই সটান থানায় হাজির হয়েছিলেন বিচারক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০৮

নিছক সন্দেহবশে এক তরুণীকে টানা পাঁচ দিন ধরে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ পেয়ে নিজেই সটান থানায় হাজির হয়েছিলেন বিচারক।

মেয়েটিকে লকআপ থেকে নিজের গাড়িতে আদালতে নিয়ে এসে পুলিশের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করেছিলেন তিনি।

তবে, সে ঘটনায় জেলা পুলিশের যে বিশেষ শিক্ষা হয়নি, শুক্রবার তারই প্রমাণ মিলল।

এ বার অভিযোগ খোদ কোতোয়ালি থানার পাঁচ অফিসারের বিরুদ্ধে। টানা ২৪ ঘন্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগে ওই থানার আইসি-সহ পাঁচ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কৃষ্ণনগর আদালতের জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট (পঞ্চম) অসীমানন্দ মন্ডল। পাঁচজনের বিরুদ্ধেই আইপিসির ৩৪২ ধারায় বেআইনি ভাবে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

সম্প্রতি হাঁসখালি থানায় এক তরণীকে পাঁচ দিন আটকে রাখার অভিযোগ পেয়ে রানাঘাটের এসিজেএম কাউকে না জানিয়ে নিজেই থানায় গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিলেন। তা নিয়ে জেলা জুড়ে হইচই কম হয়নি। কোতোয়ালি থানাতেও একই ঘটনা প্রমাণ করেছে জেলা পুলিশ এ ধরনের ঘটনায় প্রায় ‘অভ্যস্থ’।

পুলিশের দাবি, গত ১১ জানুয়ারি ভুতপাড়ায় কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জড় হতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের। ধরে আনা হয়েছিল তাদেরই পাঁচ জনকে। তবে, গ্রেফতার দেখানো হয়নি। অভিযুক্তদের আইনজীবা রাজা দুবে বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে মক্কেলদের আটকে রেখেছিল পুলিশ। বিচারকের এই পদক্ষেপে আমরা খুশি।”

দিন কয়েক আগেও তাহেরপুর থানায় এক নাবালিকাকে প্রায় ৩১ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। ধুবুলিয়ার কৃষ্ণনগর-২ ব্লক অফিসের ভিতর থেকে দুটি কাঠের গুঁড়ি চুরির দায়ে তদন্তে নেমে ধুবুলিয়া থানার পুলিশও এক জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। কিন্তু কৃষ্ণনগর আদালতের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম অসীমানন্দ মন্ডলের এজলাসে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তিন দিন আগে গ্রেফতার করে রেখে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

Police Accused
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy