Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

coronavirus in West Bengal: ক’জন পড়ুয়া আসবে, অপেক্ষায় স্কুল

গত দেড় বছর স্কুলে বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়া কাজের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে গিয়েছে। কাল মঙ্গলবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল খুলছে।

শ্রেণিকক্ষ স্যানিটাইজ় করার কাজ চলছে। বহরমপুরে।

শ্রেণিকক্ষ স্যানিটাইজ় করার কাজ চলছে। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০৫:০৮
Share: Save:

আর্থিক দুরবস্থা, শিক্ষার অভাব-সহ নানা কারণে বরাবরই কিছু পড়ুয়া স্কুল ছেড়ে কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। কখনও স্থানীয় মোটরবাইক গ্যারাজ বা অন্য কোনও জায়গায় কাজে লাগে, কখনও আবার কাজের খোঁজে পাড়ি দেয় ভিন্ রাজ্যে। গত দেড় বছর স্কুলে বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়া কাজের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে গিয়েছে। কাল মঙ্গলবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল খুলছে। ফলে তারা কী স্কুলমুখী হবে সেই চিন্তায় মুর্শিদাবাদের স্কুলগুলি।

অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দাবি, অনলাইন ক্লাস করা হলেও মুর্শিদাবাদের মতো পিছিয়ে পড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলগুলির পড়ুয়াদের তাতে অংশগ্রহণের হার খুবই কম। তা দেখে শিক্ষকদের একাংশের ধারণা পড়ুয়াদের কেউ কেউ এলাকায় নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, কেউ কেউ ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছে। জেলার এক প্রধান শিক্ষক বলছেন, ‘‘কত পড়ুয়া স্কুলে আসছে না তা কয়েক দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘‘স্কুল খোলার পরে পড়ুয়ারা কেমন উপস্থিত হচ্ছে তা বোঝা যাবে। তবে আমরা আশা করছি সব পড়ুয়া স্কুলে আসবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘অনেক আগে থেকে বিদ্যালয় খোলার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অভিভাবকরা পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক।’’

গোটা জেলার অধিকাংশ মানুষ আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে।

যার প্রভাব পড়ুয়াদের উপরেও পড়ে। যেমন বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া লালগোলার বিভিন্ন গ্রামের অনেকেই কাজের খোঁজে, বিশেষত রাজমিস্ত্রির কাজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেন। বরাবরই পিছিয়ে পড়া পরিবারের কিছু ছাত্র মাঝপথে পড়া ছেড়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কাজের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে যায়। আর দীর্ঘদিন লকডাউন ও করোনার জেরে ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে।

লালগোলার লস্করপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, ‘‘আমাদের এলাকার অধিকাংশ পড়ুয়া প্রথম প্ৰজন্মের। আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাদের পরিবারের অনেকেই ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দেন। অনেক ছাত্র বাইরে কাজে গিয়েছে। তবে তাদের সবাই বিদ্যালয় মুখী হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Schools
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE