টিকা নিচ্ছে পড়ুয়ারা। কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ৮৫০ ছাত্রকে হাম ও রুবেলার টিকা দিতে বিদ্যালয়ে পৌঁছেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অথচ, টিকা নিয়েছে মাত্র ১৬৫ জন ছাত্র। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। রানাঘাট নাসরা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলেছে স্বাস্থ্য দফতর। যদিও প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজোর আবহে পড়ুয়াদের টিকা নেওয়ার আগ্রহ কম ছিল বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৯ জানুয়ারি থেকে জেলা জুড়ে ৮ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের হাম ও রুবেলার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এর জন্য নভেম্বর মাসেই জেলার সব সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তৈরি হয়েছিল ‘মাইক্রো প্ল্যান’। ঠিক হয়েছিল, প্রতি বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক বা অন্য এক জন শিক্ষককে টিকাকরণের নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাঁর কাজ হবে ছাত্রছাত্রীদের এবং অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো, রাজি করা ও টিকাকরণের দিনে পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ে আসা নিশ্চিত করা।
এত আয়োজন সত্ত্বেও অনেক স্কুলেই টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহ চোখে পড়ছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় হাম ও রুবেলার টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রার ৭১ শতাংশ পূরণ হয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি রানাঘাটের নাসরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনায় সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (রানাঘাট মহকুমা) পুষ্পেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব শিক্ষকদের। সে কথা বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু বিদ্যালয় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই টিকাকরণে সমস্যা হচ্ছে।”
যদিও অভিযোগ মানতে চাননি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিক বলেন, ‘‘অভিভাবক ও ছাত্রদের টিকা নিতে আসার কথা বার বার জানানো হয়েছে। কিন্তু অনেক ছাত্রই আগে অন্য কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছে। তা ছাড়া, সরস্বতী পুজো থাকায় অনেকেই স্কুলে আসেনি।’’ বিদ্যালয়ের যে সব ছাত্র অন্য জায়গা থেকে টিকা নিয়েছে তাদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy