—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট শেষ হলেও পিছু ছাড়ছে না বোমার দাপট। বাড়়ির পাশের পুকুরে পড়ে থাকা বোমা ফেটে আহত হল শমসেরগঞ্জের লস্করপুরে এক বালক। জেলা জুড়েই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পঞ্চায়েত ভোটপর্বে অনেক প্রাণ গিয়েছে জেলায়। তার পরেও সেই দাপট সমানে চলছে।
ওই গ্রামেরই একটি ক্লাবের সম্পাদক আবিদ হাসান বলেন, ‘‘যে জায়গায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে বোমা কী করে এল? জায়গাটি বেশ নির্জন। সেখানে দু’দিন আগেই বেগুন গাছেন চারা পুঁতেছে। তখন নিশ্চয় বোমা থাকলে তাদের তা নজরে পড়ত। তা হলে তা পরে এনে রাখা হয়েছে। কোথা থেকে তা এল, তার খোঁজ করুক পুলিশ।’’ এলাকার বাসিন্দাদের তাই দাবি, এখনও হাতে হাতে বোমা ঘুরছে। সেই বোমা লুকিয়ে রাখতে দুষ্কৃতীরা সচেষ্ট। তারা কোথাও কিছু দিন পুঁতে রেখে আবার তুলে নিয়ে অন্যত্র রাখছে। গোটা ঘটনায় বিপদের আঁচ সাঙ্ঘাতিক ভাবে বাড়ছে।
জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “যারা এই ভাবে বোমা ফেলে রাখছে তাদেরও তো বাড়িতে ছেলে মেয়ে রয়েছে। তাই তাদেরও ভাবা উচিত। প্রতিটি গ্রামে সিভিক ও গ্রামীণ পুলিশ রয়েছে।তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। খুবই বিপজ্জনক ঘটনা। রাজনীতির রং না দেখে দুষ্কৃতীদের ধরতে হবে পুলিশকে। কারণ এতে শিশুরা আঘাত পাচ্ছে। আরও উদ্বেগের ঘটনা এখন এলাকায় রঙিন বোমা তৈরি হচ্ছে। রাস্তা ঘাটে পড়ে থাকলে তাকে নেহাতই বল ভেবে ভুল করবে ছেলেরা। ”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই গোটা এলাকা জুড়েই বোমার যথেচ্ছ ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফরাক্কার ইমামনগরে বাড়ির পাশে একটি বাগানে খেলছিল ৫ বালক। তখনই একটি গোলাকার বস্তু পড়ে থাকতে দেখে বালকেরা বল ভেবে খেলতে শুরু করলে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আহত হয় ৫ বালকই। ভোট মিটলেও বোমাতঙ্ক এখনও কাটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy