বিয়ের এক বছরের মধ্যে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু নববধূর। বুধবার তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের ইসলামপুর এলাকায়। বাপের বাড়ির অভিযোগ, পণের জন্য তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। অন্য দিকে, শ্বশুরবাড়ির দাবি, আত্মহত্যা করেছেন বৌমা। এই নিয়ে উত্তেজনা চরমে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। যদিও মৃতার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেখা মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে ২০ বছরের ফতেমা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল রঘুনাথগঞ্জে। তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগ, পণের জন্য বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার রাতে ফতেমার শ্বশুরবাড়ি থেকে মৃত্যুসংবাদ পান বধূর মা। ফোন করে বলা হয়, আত্মহত্যা করেছেন ফতেমা। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ছুটে যান মা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পণের টাকার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে ফতেমাকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করা হত।’’ তিনি এ-ও জানান, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের কাছে এই কথা শুনে আসছেন। মহিলা বলেন, ‘‘মেয়ের শ্বশুরবাড়িকেও সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ হয়নি। শেষে টাকার জন্য ওকে খুন করে দিল। এখন দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলছে ওরা।’’
আরও পড়ুন:
রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘মামলাটি স্পর্শকাতর। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর নির্ভর করছি আমরা। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’ অন্য দিকে, ফতেমার বাপের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন,আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। ফতেমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করবেন।