— প্রতীকী ছবি।
কিশোর এবং গৃহবধূর পরিচয় ফেসবুকে। পরিচয় ক্রমশ গড়ায় প্রেমে। কিশোর প্রেমিককে বিয়ে করতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাড়ি ছাড়েন যুবতী। নদিয়ায় এসে দু’জনে পালিয়ে যান। কিন্তু অসমবয়সি দু’জনের প্রেম মেনে নেয়নি পরিবার। কিশোরকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে যুবতীকে। অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিককে পাঠানো হয় হোমে। কিছু ক্ষণের মধ্যে সেই হোমেই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এ নিয়েই ধুন্ধুমার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।
সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি এক বধূর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় নদিয়ার দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের। বছরখানেক প্রেম করার পর, কয়েক দিন আগে ওই বধূ রায়গঞ্জের বাড়ি ছেড়ে কিশোর প্রেমিককে বিয়ে করার উদ্দেশে নদিয়ায় এসে পৌঁছোন। বধুর সঙ্গেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে কিশোরও। তার পর থেকেই তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। নবদ্বীপ থানায় কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানায় পরিবার। তদন্ত নেমে পুলিশ বধূ এবং কিশোরকে উদ্ধার করে। অপহরণের অভিযোগে বধূকে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। কিশোর অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে পাঠানো হয় করিমপুরের একটি হোমে। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ওই হোম থেকে ওই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হোমের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলছে মৃত কিশোরের পরিবার।
কিশোরের পরিবারের দাবি, নবদ্বীপ থানা সংলগ্ন রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরে হোম থাকলেও তাকে পরিকল্পিত ভাবে করিমপুর হোমে পাঠানো হয়েছিল। হোম কর্তৃপক্ষ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। আত্মহত্যায় প্ররোচনাও দেন হোমের কর্মীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে এক কিশোর ও এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের অভিযোগে ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করা হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোরকে পাঠানো হয় হোমে। সেখানেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোর।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘নিখোঁজের তদন্তে দু’জনকে গ্রেফতার করে গৃহবধূকে জেল হেফাজতে এবং ওই কিশোরকে হোমে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে।’’ যদিও পুলিশের দাবি মানতে নারাজ মৃত কিশোরের পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy