মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে গত কয়েক দিনের অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু পরিবার। তাদের সাহায্যের জন্য চার কোটি টাকার তহবিল গড়লেন জেলার মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সাহায্যকারীদের মধ্যে অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তবে সেই পরিচয় পাশে সরিয়ে রেখেই দলমত নির্বিশেষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি যাতে পুনরায় বসবাসের যোগ্য হয়ে ওঠে ও গৃহস্থালির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে তাঁরা হাতে পান সেজন্যই এই তহবিল। সূত্রের খবর এই উদ্যোগে মূল ভূমিকা নিচ্ছেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস-সহ এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব ও বিড়ি ব্যবসায়ী।
তহবিল প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার কাজ নীরবে ও রাজনৈতিক পতাকা ব্যবহার না করে করা হচ্ছে।’’ আরও বলেন , ‘‘শমসেরগঞ্জের জাফরাবাদ, বেদবোনা, পালপাড়া এবং ধুলিয়ান পুরসভার ১৪,৩,৭ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের দলের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার ও পরিবারগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে চাল,ডাল এবং অন্যান্য জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে তুলে দিতে শুরু করেছে দল।
ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শমসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে যে সমস্ত দোকান এবং পরিবারগুলির ক্ষতি হয়েছে, তা যতটা সম্ভব পূরণ করতে উদ্যোগী হয়েছেন এলাকার বিশিষ্ট কিছু মুসলিম।’’ তিনি জানিয়েছেন, অনেকের রান্নাঘর নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস ওভেন পর্যন্ত আর নেই। অনেক মানুষেরই বিভিন্ন রকমের ক্ষতি হয়েছে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এলাকার মুসলিম সমাজের তরফ থেকে যে আর্থিক তহবিল তৈরি করা হয়েছে তা থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় চারশোটি পরিবার এবং দোকানদারকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনের ভিত্তিতে পরিবারগুলিকে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করা হবে।