২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও ব্যতিক্রম ছিল সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত কালীগঞ্জ। সেখানে বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী হাসানুজ্জামান শেখ ১২২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এই জয় তৎকালীন জোটের প্রভাব ও সংগঠনের শক্তির ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে পরবর্তী নির্বাচনী ফলাফল সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি। ২০১৮ লোকসভায় সিপিএম একক ভাবে লড়াই করে ঠিকই, তবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। পরবর্তী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট মাত্র ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে চলে যায়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জোটের কিছুটা ভোট বৃদ্ধি পেলেও তা তৃণমূল, বিজেপির সামনে কিছুই নয়। এই প্রেক্ষাপটে আগামী ১৯ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন। জোট নিয়ে রাজনৈতিক মহল এবং দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মেঘলাল শেখ বলেন, “এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের উচ্চ নেতৃত্ব। তবে জোট হলে কোনও সমস্যা নেই। আমাদের প্রতীকেই টিকিট চাওয়ার আবেদন জানাব।” অন্য দিকে, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অসীম সাহা বলেন, “এই মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানা নেই। তবে জোটে আপত্তি নেই। আমরা অবশ্যই দাবি রাখব যে, এই আসন অতীতের মতো আমাদের দখলে থাকুক।” নেতৃত্বের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)