Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Mid Day Meal

মিডডের পাতে মাংস-ফল, স্কুলে বাড়ছে হাজিরা

মিডডে মিলে অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার হিসেবে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই সপ্তাহে তিন দিন ডিম বরাদ্দ করেছিল প্রশাসন।

মিড ডে মিলের লোভে স্কুলে পড়ুয়ারা।

মিড ডে মিলের লোভে স্কুলে পড়ুয়ারা। — ফাইল চিত্র।

মফিদুল ইসলাম
হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৯
Share: Save:

সপ্তাহে তিন দিন পাতে পড়ছে গোটা ডিম। সপ্তাহে একদিন মিলছে মাংস, পায়েস, মরসুমি ফলও। স্বাভাবিক ভাবেই উপস্থিতি বাড়ছে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। বিভিন্ন প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা মিডডে মিলে এত কিছু পদ পেয়ে বেজায় খুশি।

মিডডে মিলে অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার হিসেবে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই সপ্তাহে তিন দিন ডিম বরাদ্দ করেছিল প্রশাসন। সপ্তাহে একদিন মাংস খাওয়ানোর কথাও বলা হয় প্রশাসনের তরফে। সম্প্রতি মিডডে মিলের আহারে যোগ হয়েছে সপ্তাহে একদিন পায়েস, পনির, মরসুমি ফলও। যার জন্য পড়ুয়াদের মাথা পিছু সপ্তাহে অতিরিক্ত ৩০ টাকা বরাদ্দ শুরু করেছে প্রশাসন।

সম্প্রতি নতুন আহারের পদ নিয়ে একটি নির্দেশিকাও দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত ২ জানুয়ারি থেকেই পড়ুয়াদের পাতে সপ্তাহে তিন দিন ডিম, একদিন মাংস, মরসুমি ফল দেওয়া হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয় গত বুধবার থেকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকা অনুযায়ী নতুন পদের তালিকা অনুসরণ করছে। অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের দাবি, মিডডে মিলে সপ্তাহে তিন দিন ডিম, একদিন করে মাংস, পায়েস, মরসুমি ফল দেওয়ায় বেড়েছে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার।

নওদার প্রত্যন্ত ডাঙাপাড়া-মুক্তারপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনকুমার রায় বলেন, ‘‘মিডডেতে পদ বদল হওয়ায় আমাদের স্কুলে উপস্থিতির হার ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে। আগে যারা অনিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে আসত, এখন তারাও নিয়মিত স্কুলে আসছে।’’

ওই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৫৬৫। গত বুধবার ৪৭৩ জন, শুক্রবার ৪৪৭ জন, শনিবার ৪৫০ জন মিডডে মিল খেয়েছে। অরুণাভ হালদার, সাগর শেখ নামে দুই পড়ুয়া বলে, ‘‘আগে স্কুল আসতে ইচ্ছে করত না। এখন প্রতিদিন ভাল ভাল খাবার পাচ্ছি। তাই একদিনও স্কুল কামাই করিনি।’’ গত শুক্রবার হরিহরপাড়া হাইস্কুলে মিডডে মিলে দেওয়া হয়েছিল ভাত, মরসুমি আনাজের তরকারি, ডিমের তরকারি ও পায়েস। শনিবার দেওয়া হয় খিচুড়ি, তরকারি, কমলালেবু। প্রধান শিক্ষক স্বপন শাসমল বলেন, ‘‘আগে ৭০ থেকে ৭২ শতাংশ পড়ুয়া স্কুলে আসত। এখন ৮৫ শতাংশের বেশি পড়ুয়া আসছে।’’

হরিহরপাড়ার গোবরগাড়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বকুল আহমেদ বলেন, ‘‘৫৮৫ জন পড়ুয়ার মধ্যে শনিবার মিডডে মিল খেয়েছে প্রায় ৫০০ জন।’’ জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, নতুন খাবারের পদ পেয়ে উপস্থিতির হারঅনেক বেড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mid Day Meal Hariharpara Primary School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE