Advertisement
E-Paper

কমলের ডেরায় গিয়ে তির ছুড়লেন শুভেন্দু

স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়কে বিঁধতে শুভেন্দু অবশ্য জানিয়ে রাখছেন— ‘‘আমার উপর রাগ হওয়ার আরও একটা কারণ আছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তো, জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে আসার পরে পদ খুইয়েছেন। তাই এমন তেতে আছেন!’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫৯
খড়গপুর ও ইন্দায় সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র

খড়গপুর ও ইন্দায় সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র

রাজনৈতিক সভা হলেও তির যে ছুটবে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়কের দিকে, জানা ছিল। শনিবার ভরতপুরের আলিয়া মাঠে শুভেন্দু অধিকারী তাই স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, ‘‘বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ককে বলেছিলাম, প্রাক্তন হয়ে গিয়েছেন। তাতেই এত রাগ! আসলে লোকসভা ভোটে কত ভোটে পিছিয়ে আছে জানেন, আট হাজার তাই তো ওঁকে প্রাক্তন বলেছি।’’

স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়কে বিঁধতে শুভেন্দু অবশ্য জানিয়ে রাখছেন— ‘‘আমার উপর রাগ হওয়ার আরও একটা কারণ আছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তো, জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে আসার পরে পদ খুইয়েছেন। তাই এমন তেতে আছেন!’’

কমলেশকে প্রাক্তন বলা নিয়েই দিন কয়েক আগে তপ্ত হয়েছিল বিধানসভার ওয়েল। তারই জেরে কমলেশের বাড়ির দু’শো মিটারের মধ্যে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শুভেন্দু বলে দলের অন্দরের খবর। সে কথা অবশ্য মানছেন না শুভেন্দু। বলছেন, ‘‘আমি নাকি এলাকার বিধায়কের বিরুদ্ধে সভা করতে এসেছি। আমার দিন এখনও এত খারাপ নয় যে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সভা করতে হবে।” ওই সভা থেকে লোকসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে জয়ী হয়েছি। সিপিএম আর বিজেপি-র সহযোগিতায় মাত্র ৭৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছে বহরমপুরের ‘রবিনহুড’ (অধীর চৌধুরী)। বহরমপুর কেন্দ্রের মধ্যে সব অঙ্ক গোলমাল করে দিয়েছে বহরমপুর আর কান্দি।” আগামী বিধানসভা ভোটে জেলার ২২টি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও জানিয়ে রাখছেন, বহরমপুরের দায় নেবেন না। শুভেন্দু বলেন, “ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব আমি নিতে পারব না। কারণ ওই কেন্দ্রে যাঁরা থাকেন তাঁরা সকলেই কালিদাস!” ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন মহম্মদ সোহরব হোসেনকে। তিনি আরও বলেন, “বহরমপুরে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেন আর ভোট দেন কংগ্রেসকে।”

সভা চলাকালীন ভরতপুরের বাড়িতেই ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। সভা শেষে কমলেশ বলেন, “তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা সত্যি কথা শোনার সাহস রাখেন না। তাই প্রতিবাদ করলে নিতে পারেন না। পাল্টা সভা করেন বাড়ির সামনে।”

Subhendu Adhikari Kamalesh Chatterjee Bharatpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy