ফাইল চিত্র।
উদ্বাস্তু অধ্যুষিত ধুবুলিয়ায় এসে ফের সিএএ-এনআরসি প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে গেলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল আনা উচিত বলেও তিনি দাবি করেন। উদ্বাস্তুদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে সরব হবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
দিন কয়েক আগেই নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি এলাকায় বিক্ষোভ-ভাঙচুর ইত্যাদি হয়েছিল। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার সেখানে যেতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, পরে তা তুলে নেওয়া হয়। এর পরেই শুভেন্দু বেথুয়াডহরিতে গিয়ে সভা করবেন বলে ঘোষণা করেন। নাকাশিপাড়ায় ফের অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বেথুয়াডহরি যেতে না পেরে শনিবার বিকেলে ধুবুলিয়ায় জনসভা করেন শুভেন্দু। জগন্নাথ ছাড়াও নদিয়ায় বিজেপি বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সকাল থেকে নাকাশিপাড়ায় পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। জাতীয় সড়কের উপর জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং করা হয়। পাশের কালীগঞ্জ ব্লকেও জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং ছিল। জনসভার মাঠ ভরানোর জন্য এ দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে আসা হয়। সভায় বেশ কয়েক হাজার লোক হয়েছিল বলে জেলা পুলিশের দাবি।
মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গও তোলার পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, “সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে। এ বার কার্যকর হবে। আমাদের স্বরাষ্টমন্ত্রী শিলিগুড়িতে ঘোষণা করে দিয়ে গিয়েছেন। আমি এক জন নাগরিক হিসাবে, এক জন জনপ্রতিনিধি হিসাবে মনে করি যে এনআরসি ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল আনা উচিত।” তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ পাল্টা বলেন, “কৃষি আইনের মতো সিএএ-ও বিজেপিকে গিলতে হবে। দেশের মানুষ এ সব মেনে নেবে না।” প্রতি মাসে বিজেপির নদিয়া উত্তর ও দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় এক বার করে আসবেন বলে শুভেন্দু জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy