অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ‘কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর হয়ে নির্বাচনে পরিশ্রম করায়’ ১৪ জন পুরকর্মীর বেতন স্থগিত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন। অধীরের অভিযোগ, বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ ওই ১৪ জন কর্মীর বেতন স্থগিত করে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা কর্মীও রয়েছেন। বহরমপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমরা সার্ভিস রুল মেনেই তাঁদের বেতন স্থগিত করেছি। যদি কারও মনে হয় অন্যায় হচ্ছে, তাঁরা আদালতের দারস্থ হতে পারেন। আমরা আমাদের মতো আদালতে উত্তর দেব।" নাড়ুগোপাল এও বলেন, ‘‘যাঁদের বেতন স্থগিত করা হয়েছে তাঁদের অধিকাংশ তৃণমূল করেন। ফলে, দল দেখে নয়, কাজের পারফরম্যান্স দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ভোটে হেরে গিয়ে অধীরবাবু এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।"
তৃণমূল পরিচালিত বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সব পুরকর্মচারী ঠিক মতো কাজ করছিলেন না, তাঁদের কাজের পারফরম্যান্স ভাল নয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এমন সব কারণেই ৫৩ জন কর্মীর বেতন স্থগিত করা হয়েছে।
অধীরের দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে এই পুরকর্মীরা তাঁর সমর্থনে কাজ করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘এ ভাবে সাধারণ পুরকর্মীদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ওই সব কর্মচারী খুব গরিব।’’ তাঁরা যাতে দ্রুত বেতন পান সে বিষয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর।
হঠাৎ করে বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় ওই সব কর্মচারীরাও খুব সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা দ্রুত বেতন দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই পুরসভায় কাজ করেন। এ ভাবে বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় সংসার চালাতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন। তাঁরা চান দ্রুত বেতন দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হোক।
পুরপ্রধান বলেন, ‘‘সার্ভিস রুল মেনে যে পরিষেবা দেওয়ার কথা তা তাঁরা দেন না। ছুটি নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সে সব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৫৩ জনের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। তাঁদের শো-কজ় করা হবে। তারপরে সদুত্তর না পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy