— প্রতীকী ছবি।
খুনের হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিয়ে করলেও, তা-ও বৈধ নয় বলে দাবি বধূর। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বধূর। অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন, দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্যের। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভরতপুরের ৫৬ নম্বর জেলা পরিষদ আসন থেকে নির্বাচিত সদস্যের বিরুদ্ধে তাঁরই পড়শি এক মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। পরবর্তীতে বিয়ে করার দাবি জানালে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মহিলাকে ভয় দেখাতে শুরু করেন অভিযুক্ত। এমন কি শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালে বধূকে ভুয়ো বিয়ের শংসাপত্র দেখান অভিযুক্ত। বধূকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কান্দি থানায় প্রাণনাশের হুমকি-সহ লাগাতার ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে গোটা ঘটনাকে পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে পাল্টা দাবি করেছেন অভিযুক্ত শাসকদলের নেতা। অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। আইনের আশ্রয়ে তিনি সত্য প্রমাণ করবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এ দিকে, গৃহবধূর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন জেলা পরিষদের সদস্য।
দলের জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘কোথাও অভিযোগ হলে তা খতিয়ে দেখে সত্য উদঘাটন করার দায়িত্ব পুলিশের। যদি কেউ প্রকৃত দোষী হন, পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘কোনও অভিযোগ পেলেই খতিয়ে দেখতে তদন্ত হয়। এ ক্ষেত্রেও সেটি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy