—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
মঙ্গলবারই রাতেই কলকাতা থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকা পাঠিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। সেই তালিকা হাতে পাওয়ার পরে ঘোষণার পথে না গিয়ে দলের জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে ব্লক সভাপতিরা সেই রাতেই দলের প্রার্থীদের ফোন করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
দলের নেতৃত্বের ফোন পেতেই বুধবার থেকে তৃণমূলের প্রার্থীরা পঞ্চায়েতের তিন স্তরে মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করেছেন। তৃণমূল সূত্রে দাবি, সময় খুব কম বলেই প্রার্থীদের নাম আলাদা করে ঘোষণা না করে জনে জনে ফোন করে তাঁদের মনোনয়ন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূলের মধ্যে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে তার বিস্ফোরণ হলে যাতে কেউ নির্দল হতে না পারে, ডিসিআর কাটার সময় না পায়, তার জন্য পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূল মনোনয়ন জমা দিল।’’ জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘দলে কোনও কোন্দল নেই। কিন্তু এখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার মতো সময় নেই। তাই তালিকা ঘোষণা করা হয়নি।’’
মঙ্গলবার রাতে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের জেলায় পাঠানো পঞ্চায়েত সমিতির যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে বেলড়াঙা ২ ব্লক, ভরতপুর ১ ও ২ ব্লক, বড়ঞা, জলঙ্গি, নওদার, সাগরদিঘির প্রার্থীদের নাম নেই। তেমনই জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকায় ভরতপুর ১ ও ২ ব্লক, সাগরদিঘি, কান্দি, জলঙ্গি ও নওদার প্রার্থীদের নাম নেই। সন্ধ্যায় সাগরদিঘি ব্লকের তালিকাও প্রকাশ করা হয়। তাতে জেলা পরিষদের দুজন বিদায়ী জেলাপরিষদ সদস্য ভারতী হাঁসদা ও ইতি সাহাকে ফের মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল। ভারতী নারী ও শিশুর কর্মাধ্যক্ষ। কানাই বলেন, ‘‘যে আসনগুলিতে প্রার্থীর নাম আসেনি, সেগুলিতে এসে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy